পাতা:পলাশির যুদ্ধ.djvu/২০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

చిర ] স্তায়। যদি উচ্চৈঃস্বরে রোদন, যদি আন্তরিক মৰ্ম্মভেদী কাতরোক্তি, যদি ভয়শূন্ত তেজোময় সত্যপ্রিয়তা, যদি দুৰ্ব্বাসাগ্রার্থিত ক্রোধ, দেশবাংলগ্যের লক্ষণ হয়,—তবে সেই দেশবাৎসল্য নবীনবাবুর এবং তাহার অনেক লক্ষণ এষ্ট কাব্যমধ্যে বিকীর্ণ হইয়াছে। বায়রণের ন্যায় নবীনবাবু বর্ণনায় অত্যন্ত ক্ষমতাশালী ; বায়রণের স্থায় তাহারও শুক্তি আছে, যে দুই চারিট কথায় তিনি উৎকৃষ্ট বর্ণনার অবতরণ করিতে পারেন। ক্লাইবের নৌকাৰোহণ ইহার দৃষ্টান্ত স্থল। কিন্তু অনেক সময়েষ্ট, নবীনবাবু যে প্রথা পরিত্যাগ করিয়া, বর্ণনায় অনর্থক কালহরণ করেন। যাহাই হউক, কবিদিগের মধ্যে নবীন বাবুকে আমরা অধিকতর উচ্চ আসন দিতে পারি না পারি, তাহাকে বাঙ্গালার বায়রণ বলিয় পরিচিত করিতে পারি। এ প্রশংসা বড় অল্প প্রশংসা নহে। পলাশির যুদ্ধ যে বাঙ্গালার সাহিত্য ভাণ্ডারে একটি বহুমূল্য রত্ন, তদ্বিধবে সংশয় নাই। উপসংহারকালে, পাঠকদিগকে আমরা একটা কথা বলিব পলাশির যুদ্ধের আমরা রাখিয়া ঢাকিয়া পরিচয় দিয়াছি। যদি তাহারা ইহার যথার্থ পরিচয় লইতে ইচ্ছা করেন, আদ্যোপান্ত স্বয়ং পাঠ করিবেন। যে বাঙ্গালি হইয়া, বঙ্গালির অান্তরিক রোদন না পড়িল, তাহার বাঙ্গালি জন্ম বুৎ ”