পাতা:পলাশির যুদ্ধ.djvu/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রথম সর্গ।
২১


৩৬


আরম্ভিলা কৃষ্ণচন্দ্র, ধরণী-ঈশ্বর’,
সম্বোধিয়া ধীরে রাজনগর-ঈশ্বরে
সসন্ত্রমে,—“যা কহিলা সত্য, নৃপবর!
কার সাধ্য অণুমাত্র অস্বীকার করে?
যে করে সে মূঢ়! ভেবে দেখ মনে
শার্দ্দুল-কবল-গত কিম্বা নাগপাশে
বদ্ধ যেই জন হায়! ভীষণ বেষ্টনে,
নিরাপদ, বসি যেন আপনার বাসে,
ভাবে সে যদ্যপি মনে, তবে এ সংসারে
ততোধিক মূর্খ আর বলিব কাহারে?

৩৭


“একে ত অদুরদর্শী নৃশংস যুবক,—
আজন্ম বর্দ্ধিত পাপে। হিংসা অহঙ্কার
অলঙ্কার তার। তাহে পথপ্রদর্শক
হয়েছে ইতরমনা যত কুলাঙ্গার,
নীচাশয়। ইহাদের পরামর্শে, হায়!
ফলিছে বঙ্গের ভাগ্যে যে বিষম ফল,
বলিতে বিদরে বুক; যথায় তথায়
হাহাকার-ধ্বনি রাজ্যে উঠিছে কেবল।