বোন! আমার কথাটায় তখন তোরা ত কেউ কাণ দিলিনে!” রমা এম্নি ম্লান হইয়া উঠিল যে, বেণী দেখিতে পাইয়া কহিল,—“না না, তোমাকে সাক্ষী দিতে যেতে হবে না। আর তাই যদি হয়, তাতেই বা কি! জমিদারী কর্তে গেলে কিছুতেই হট্লে ত চলে না।” রমা কোন কথা কহিল না। বেণী কহিতে লাগিল,—“কিন্তু, তাকে ত অত সহজে ধরা চলে না! তবে সেও এবার কম চা’ল চাল্চে না দিদি! এই যে নূতন একটা ইস্কুল করেচে, এ নিয়ে আমাদের অনেক কষ্ট পেতে হবে। এম্নিই তো মোচলমান প্রজারা জমিদার ব’লে মান্তে চায় না, তার ওপর যদি লেখাপড়া শেখে, তা হ’লে জমিদারী থাকা না থাকা সমান হবে, তা’ এখন থেকে ব’লে রাখ্চি।” জমিদারীর ভাল-মন্দ সম্বন্ধে রমা বরাবর বেণীর পরামর্শ মতই চলে; ইহাতে দুজনের কোন মতভেদ পর্য্যন্ত হয় না। আজ প্রথম রমা তর্ক করিল। কহিল,—“রমেশদা’র নিজের ক্ষতিও ত এতে কম নয়?” বেণীর নিজেরও এ সম্বন্ধে খট্কা অল্প ছিল না। সে ভাবিয়া চিন্তিয়া যাহা স্থির করিয়াছিল, তাহাই কহিল,—“কি জান রমা, এতে নিজের ক্ষতি ভাব্বার বিষয়ই নয়—আমরা দুজনে জব্দ হলেই ও খুসি। দেখ্চ না, এসে পর্য্যন্ত কি রকম টাকা ছড়াচ্ছে? চারিদিকে ছোটলোকদের মধ্যে ‘ছোটবাবু’ ‘ছোটবাবু’ একটা রব উঠে গেছে। যেন ওই একটা মানুষ, আর আমরা দুঘর কিছু নয়। কিন্তু, বেশিদিন এ চল্বে না। এই যে পুলিশের