পাতা:পল্লী-সমাজ.djvu/২৩

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
২১
পল্লী-সমাজ


প্রতি কট্‌মট্‌ করিয়া চাহিল। সে ভ্রূক্ষেপমাত্র না করিয়া কহিল, “তা তোমরা ত কেউ এ দিক্‌ মাড়াবে না, দাদা”—বলিয়া তাঁহার হাতে হুঁকাটা তুলিয়া দিল। দীনু ভট্‌চায আসন গ্রহণ করিয়া দগ্ধ হুঁকাটায় নিরর্থক গোটাদুই টান দিয়া বলিলেন, “আমি ত ছিলাম না ভায়া—তোমার বৌঠাক্‌রুণকে আন্‌তে তাঁর বাপের বাড়ী গিয়েছিলুম। বাবাজী কোথায়? শুন্‌চি নাকি ভারি আয়োজন হচ্চে? পথে আস্‌তে ও-গাঁয়ের হাটে শুনে এলুম, খাইয়ে-দাইয়ে ছেলে বুড়োর হাতে ষোলখানা ক’রে লুচি আর চার-জোড়া ক’রে সন্দেশ দেওয়া হবে।” গোবিন্দ গলা খাটো করিয়া কহিল, “তা’ ছাড়া হয় ত একখানা ক’রে কাপড়ও। এই যে রমেশ বাবাজী, তাই দীনুদা’কে বল্‌ছিলুম বাবাজী—তোমাদের পাঁচজনের বাপ-মায়ের আশীর্ব্বাদে যোগাড়-সোগাড় একরকম করা ত যাচ্চে, কিন্তু বেণী একেবারে উঠে পড়ে লেগেচে। এই আমার কাছেই দু’বার লোক পাঠিয়েছে। তা আমার কথা না হয় ছেড়েই দিলে, রমেশের সঙ্গে আমার যেন নাড়ির টান্‌ রয়েচে; কিন্তু এই যে দীনু-দা, ধর্ম্মদাস-দা, এঁরাই কি, বাবা তোমাকে ফেল্‌তে পার্‌বেন? দীনু-দা ত পথ থেকে শুন্‌তে পেয়ে ছুটে আস্‌চেন। ওরে ও ষষ্ঠীচরণ, তামাক দে না রে! বাবা রমেশ, একবার এদিকে এস দেখি, একটা কথা ব’লে নিই!” নিভৃতে ডাকিয়া লইয়া গোবিন্দ ফিস্‌ফিস্ করিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “ভেতরে বুঝি ধর্ম্মদাস-গিন্নী এসেছে? খবরদার, খবরদার, অমন কাজটি