পাতা:পাখী - জগদানন্দ রায়.pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Vir 子 পাখী অমনি তাহারা যে কে কোথায় উড়িয়া গেল, তাহা বুঝা গেল না। এইরকমে ছাতারে, বুল-বুল, ঘুঘু, দায়েল, নীলকণ্ঠ এবং আরো কত পাখী যে ভোর হইতে আরম্ভ করিয়া সন্ধ্যা পৰ্যন্ত ব্যস্ত থাকে, তাহা তোমরা দেখা নাই কি ? তোমরা বোধ হয় মনে কর, পাখীরা বুঝি সমস্ত দিন খাবার লইয়াই ব্যস্ত থাকে। কিন্তু তাহা নয়,—ছোটাে পেটগুলিকে ভরাইবার জন্য তাঁহাদের সমস্ত দিনই ব্যস্ত থাকার দরকার হয় না। আমাদের মতো এই-সব জন্তুর সুখ-দুঃখের জ্ঞান আছে ; তা”ছাড়া রাগ, হিংজা, দ্বেষ এবং ভয়ও আছে। আবার কাহারো কাহারো দুষ্টামি বুদ্ধিও আছে। ইহা তােমরা দুেখ নাই কি ? তাই, পাখীরা যে কেবল খাবারের সন্ধানেই দিন কাটায় এ-কথা বলা যায় না । নিজেদের বাসা বঁধিবার জন্য চৈত্র-বৈশাখ মাসে পাখীর কি-রকম ব্যস্ত থাকে, তাহা একবার দেখিয়ো । তখন তাহাদের আর আহার-নিদ্রার সময় থাকে না; খড়কুটা, ডালপালা, নোংরা নেকৃড়াকানি ঠোটে করিয়ু তাহারা গাছের আগায় বাসা বাঁধিতেই, সময় কাটায়। ঝড়ে বাসা ভাঙিয়া যাইতেছে, বৃষ্টির জলে সকলি ধুইয়া পড়িতেছে, সেদিকে তাহাদের নজর থাকে না ; তাহারা কেবল বাসার্বাধিতেই ব্যস্ত। কাজেই যদি বলা যায়, পাখীরা কেবল খাবারের সন্ধানেই জীবন কটায়,