পাতা:পাখী - জগদানন্দ রায়.pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

brS চতুর্থ বা পঞ্চম দিনে পাখীর মাথা ও গলা সুস্পষ্ট বুঝা যায়। তখন কুসুমের গা হইতে ছোটাে বাচ্চাটিকে পৃথক দেখা যায়,-কেবল একটা নলের মতো অংশ দিয়া । তাহা কুসুমের সঙ্গে জোড়া থাকে। সাত বা আট দিন পরে ডিমের ভিতরে পার্থীর পা ডানা ও মাথা বেশ ভালো করিয়াই বুঝা যায়। তোমরা যদি এই সময়ের চেহারাটা দেখ, তবে তাহাকে পাখী বলিয়াই চিনিতে পরিবে । কিন্তু মাথাটা থাকে তখন প্ৰকাণ্ড । এই সময়ে বাচ্চার শরীরের নীচে হইতে একটা বড় থলির মতো অংশ বাহির হঁয়। ইহাই ডিমের ভিতরকা বাচ্চার নিশ্বাসের যন্ত্র। ডিমের খোলাটা কী নিরেট নয়,-খোলার গায়ে খুব ছোটাে ছোটাে ছিদ্র থাকে। সেই সকল ছিন্দ্ৰ দিয়া ভিতরে বাতাস প্ৰবেশ করিতে থাকে এবং থলির গায়ের শিরার রক্ত সেই বাতাস হইতে অক্সিজেন চুষিতে আরম্ভ করে। বারো-তেরো দিন তা’ দেওয়ার পরে, ডিমের ভিতরকার সব লালাই পাখীর শরীর তৈয়ারি করিতে খরচ হইয়া যায়। তাই তখন আর ডিমে লাল দেখা যায় না, কিন্তু কুসুমটী থাকে। নিশ্বাস টানিবার যে থলিটার কথা আগে বলিয়াছি, তাহা এ-সময়ে খুব বড় হইয়া ডিমের প্ৰায় আধখানা জুড়িয়া ফেলে। --ডিমের ভিতরকার বাচ্চা ।