পাতা:পাঠমালা - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৮
শকুন্তলা

কেন? মাধব হিসেব বয়স্য। কোন বিষয়েই এত নিরাশ হওয়া ঠিক নয়। ভবিতব্যের কথা কে বলিঙ্কে পায়ে। দেখ, এই অনুরীয় যে পুনর্বার তোমার হতে আসিবে, কাহার মনে ছিল।

ইহা শুনি অরীরে গুষ্টিপাত করিয়া, রাঙ্গা উহাকে সচেতন বোধে সম্বোধন করিয়া কহিলেন অঙ্গরীয়! তুমিও আমার মত হতভাগ্য, নতুৰা কি নিমিত্ত প্রিয়ার কমনীয় কোমল অঙ্গুলীতে মান পাই, পুনরায় সেই দুর্লভ খান হইতে ভ্রষ্ট হইলে: মাধব্য কহিলেন বয়স! তুমি কি উপলক্ষে তাহার অঞ্জলীতে অঙ্গরীয় পরাইয়া দিয়াছিলে? রাজা কহিলেন রাজধানী প্রত্যাগমন কালে, প্রিয়া অপূর্ণ মনে আমার হস্ত ধরিয়া কহিলেন আপু! কত দিনে আমাকে নিকটে লইয়া যাইবে? তখন আমি এই অঙ্গরীয় ঠাহার কোমল অনুশীতে পরাইয়া দিয়া কহিলাম প্রিয়ে। তুমি প্রতিদিন আমার নামের এক একটি অক্ষর গণিৰে। গণনাও সমাপ্ত হইবে আমার লোক আসিয়া তোমাকে লইয়া যাইবে। গ্রিয়ার নিকট সরলহৃদয়ে এই প্রতিজ্ঞা করিয়া আসিয়াছিলাম। কিন্তু মোহান্ধ হইয়া একবারেই বিম্মত হইয়া যাই॥

তখন মাধব্যকালেন ডাল বয়গ্য! এ অঙ্গরীয় কেমন করিয়া রোহি মৎস্যের উদরে প্রবিষ্ট হইল? রাজা কহিলেম শুনিয়াছি শচীতীর্থে স্নান করিবার সময় স্ট্রিয়ায় অঞ্চঙ্গপ্রাপ্ত হইতে সলিলে অষ্ট হইয়াছিল। মাধব্য কহিলেন হ সন্তর বটে; সলিলে ময় হইলে রোহিত মৎস্যে গ্রাস করে। রাজা অঙ্গরীয়ে সৃষ্টি নিক্ষেপ করিয়া কহিলেন আমি এই অনুরীয়ের যথোচিত তিরস্কার করিব। এই বলিয়া কহিশেল অরে অরুরী! প্রিয়ার কোমল কয়ব ক্ষরিত্যাগ করিয়া জলে মগ্ন হইয়া তোর কি লাভ হইল ব? অথবা তোকে তিরস্কার করা অন্যায়; কারণ আছে।