পাতা:পাবনা জেলার ইতিহাস ( ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম প: | সাধারণ ৰিবরণ। զ: গ্রামে বাস করে। মৎস্তজীবী ধীবর জাতি এই জেলার পদ্মাদি নদীতীরবর্তী গ্রাম সমুহে স্থানে স্থানে বহুল পরিমাণে বাস করে। কালক্রমে দেশে মুসলমান অধিকার ঘটিলে ধীরে ধীরে যখন বঙ্গে মুসলমান জাতিগণ বসতি বিস্তার করিতে আরম্ভ করে, তখন হইতে এই জেলার সাহাজাদপুর গ্রামে সৰ্ব্ব প্রথমে খৃষ্টিয় ত্রয়োদশ শতাব্দীর প্রারম্ভকালে মুসলমানগণ আসিয়া বাস করিতে আরম্ভ করিয়াছে। সুলতানপুর, সমাজ, নবগ্রামের মসজিদাদি দর্শনে প্রতীয়মান হয় যে পাঠান আমল হইতে এই সমস্ত পল্লী মুসলমানগণের আধুষিত ভূমিতে পরিণত হইয়াছিন্তু। চাটমহরে পাঠান পাড়া, আফ্রদিপাড়া প্রভৃতি পাঠান নামাত্মক স্থানসমূহ হইতে জানা যায় এখানেও পাঠান জাতিগণ এক সময়ে সমধিক প্রসিদ্ধ লাভ করিয়াছিল। এথাকার মাগুম গঁর মসজিদ তাঁহাদের কর্তৃকই নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। বাগ, মিরজাপুর, মাসুন্দিয়া, প্রভূতি গ্রামের মিরজা, বেগ উপাধিক ৰহু মন্ত্রান্ত মুসলমান পরিবার মোগল বাদসহ আরঙ্গজেবের অনুজ দারার পুত্র সোলেমান ওরফে টু বেগে বংশধর বগিয়া পরিচয় দিয়া থাকেন। এতদ্ব্যতীত সয়দাবাদ সৈয়দপুর, আমিরাবাদ, খাপুর, কাজীপুর, কাজিটোল, মীরপুর প্রভূতি পল্লীসমূহের নাম দৃষ্ট্রে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে এই সমস্ত পল্লীতে পূৰ্ব্বে শিক্ষিত ও সন্ধান্ত মুসলমানগণের বাস ছিল। পাঠান মোগল আমলে এই সকল পল্লী অনেকাংশে সদ্বংশজাত মুসলমান কৰ্ম্মচারী সৈন্তাধ্যক্ষগণের ক্রীড়া ভূমিতে পরিণত ছিল। (গ) মুসলমান সংখ্যাধিক্যের কারণ-হিল অপেক্ষ ফুলমান জাতির সংখ্যা এই জেলায় প্রায় তিনগুণ বেশী। হিন্দু ७७s००२, भूलगभाम ১০৫৩৫৭১। গড়ে মুসলমান সংখ্যা গ্ৰায় শতকরা ৭৭ জন ধরা যায়। এই মুসলমান সংখ্যাধিক্যের কারণ নির্দেশে অনেকে বলেন, এদেশের মুসলমানগণের অধিকাংশ ধৰ্ম্মাস্তরিত হিন্দু জাতি। এই কারণ বিস্তারিত আলোচনার ইহা উপযুক্ত স্থল ন হইলেও, পাবনা ও তৎপশ্ব ত্তী বগুড়া এবং ঢাকাদি জেলায়ও প্রায় শতকরা ৮০ জন মুসলমানের বাস ; তজ্জন্ত, এই সংখ্যাধিক্যের কারণ কিঞ্চিৎ স্থূলতঃ নিয়ে আলোচিত হইল। প্রসিদ্ধ ঔপন্তাপিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মহাশয় বলেন “বান্ধ"