পাতা:পাবনা জেলার ইতিহাস ( ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 * পাবনা জেলাব ইতিহাস । [ »भ उन: পাবন বগুড়ার সেটেলমেণ্ট অফিসে চাকুরী হইয়াছে এবং নমঃশূদ্র সমাজের শিক্ষাবিস্তার জন্য খৃষ্টান প্রচারকগণ কথঞ্চিৎ সচেষ্ট হইয়াছেন দেখিয় পাবনার হিন্দু সমাজে কথঞ্চিৎ চঞ্চল্য উপস্থিত হইয়ছে। মিস্নারি প্রচারকগণ নমঃপূত্র প্রধান গ্রামসমুহ ঘুরিয়া ঘুরিয়া এ বিষয়ে অনেক চেষ্টাও করিক্তে ছেন । নিদ্রিত হিন্দু সমাজ রক্ষণশীলতায় আরষ্ট ; স্বীয় উন্নতি জন্ত সহস. সচেষ্ট হইবেন না, অথচ দেশীয় অথবা বিদেশবাসী দ্বারা অষ্ঠের উপকার হয় তাহাও সহসা সহ করিতে পরিবে না . ইহা এদেশের সনাতন প্রথা। স্তি শাস্ত্রের দোঙ্গাই দিয়া বলিবেন “চাণ্ডালোহপি দ্বিজশ্রেষ্ঠ হরিভক্তি পরায়ণঃ ” এক্ষেত্রে রাজসাহী জেলার জোয়ারী নিবাসী হাই কোটের উকীল ঐযুক্ত শৈলেশ নাথ বিশি, বি এল মহাশয় সম্প্রতি র্তাহার পাবনা জেলস্থ ধাতুয়া ঘাটা কাচারির অধীনস্থ হাদলাদি গ্রামের নমঃশূদ্রগণের সহিত হরিসংকীৰ্ত্তনাস্তে জলযোগ গ্রহণে প্রয়াসী ও প্রস্তুত ইয়া যে সৎসাহস ও সহৃদয়তার পরিচর দিয়াছিলেন তাহ অম্মদেশীয় হিন্দু সমাজের নিকট সৰ্ব্বথা প্রশংসনীয় না হইলেও, অনুকরণীয় তদ্বিসয়ে কিছু মাত্র সন্দেহ নাই । নমঃশূদ্র পরিবারে বিবাহ করিতে অনেক টাকা পণ লাগে, তজন্য অধিক বয়স পর্য্যন্ত অনেকে বিবাহ করিতে পারে না এবং পণ লোভে বাগ বিবাহ প্রথা প্রচলিত থাকায় অনেক সময় অধিক বয়মের পুরুষ সহ অল্প বয়স্ক কুমারীর বিবাহ হওয়ায় তাহার বিষময় ক্ষণে অনেক নমঃশূদ্র পরিবার বিনাশ প্রাপ্ত হইয়া যাইতেছে । এই সমাজে শিক্ষা অধিকতর বিস্তৃত হয় নষ্ট। হিন্দু জাতি মধ্যে এই জেলায় ইহাদের সংখ্যাই সৰ্ব্বাপেক্ষ অধিক ; হিন্দুদিগের মধ্যে ইহারাই অধিকতর কৃষিজীবী ; কৃষি প্রধান । দেশের এই জাতিকে রক্ষা ও তাহদের উন্নতি কল্পে হিন্দু সমাজের সকলেরই সমবেত চেষ্টা করা কর্তব্য । লাপিত-পাবনা জেলায় নাপিত জাতির সংখ্যা ১০২১ জন ধর হইয়াছে। ক্ষেীর কার্যই ইহঁদের সর্বপ্রধান ব্যবসায় । ইহারা সাধারণতঃ নরসুন্দর বা সভাসুন্দর বগিয়া পরিচিত। প্রতিগ্রাম বা ২৪ গ্রাম লইয়া ২। ঘর নাপিঙের বাস আছে। এই সমঙ্গে দাস, প্রমাণিক দরকারাদি উপাধি