পাতা:পাবনা জেলার ইতিহাস ( ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৫৪

8V পাবনা জেলাব ইতিহাস । | ১ম অঃ ইংদের পুরোহিত। মৃতের বাড়ীতে প্রথম দিন ধোপা, নাপিত ও ব্রাহ্মণ একত্র হইয়া বাস করিংার রীতি আছে । শ্রাবণ ভাদ্র মাসে এই সকল জাতিগণ মধ্যে ডালপুজা ও পচাই লামক মন্ত পানে স্ত্রী পুরুষে মিলিত হইয় আমোদ প্রমোদ উল্লেখ যোগ্য। ষ্টহীদের মধ্যে কোন কোন স্থলে জিমূত বাহন পুজা বা জিতাটমী পূজা প্রপা বর্তমান আছে । আজকাল পাটের চাষ আবাদের কল্যাণে ইহাদের অনেকের অবস্থা উন্নত। লেখাপড়া শিক্ষায় ইহাদের মধ্যে অনেকে অগ্রসর হইয়াছে। নিমগছীতে ইহীদের একটী পাঠশালা আছে। ইহুীদের মধ্যে কোন কোন জাতি মধ্যে নিকা প্রথা বর্তমান আছে অনেকের বিশেষতঃ মাহতোদিগের মধ্যে কাণ ফোড়ানের রীতি আছে । ইহা দের মধ্যে স্ত্রীপুরুষ উভয়ে পরিশ্রমী । * বারুই-পাবনা সদরের কাকরকাটা, ফকিরপুর লক্ষ্মীপুর, একদন্ত, সিন্দুরী, রূপপুর প্রভৃতি পল্লী এবং সিরাজগঞ্জের অধীন ধলডোব, চালা, দেলুয়া, মকিমপুর, সোহাগপুর রাজাপুর, ভামুন্ডাঙ্গা বারইভোগ প্রভৃতি গ্রামে অনেক বারুজী জাতীর বাস। ইহারা আপনাদিগকে ংৈখ্য বারুঞ্জী ইলিয়া পরিচয় দিয়া থাকেন। পাবনা জেলায় ইছাদের সংখ্যা ২৭০২ জন । ইহার নবশাক শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত। ইহাদের উৎপত্তি সম্বন্ধে বৃহদ্ধৰ্ম্মপুরাণে লিখিত আছে— “ ব্রাহ্মণাচ্ছদ্র কল্পায়াং বারজীবী বভূব ” । ৩৭ “ ব্রাহ্মণস্ততু তামূল্যাং পুত্রোৎসে বারুই স্বতঃ তাম্বল ব্যবসায়ী চ কলে সচ্ছ দ্রবং স্বত: । ১৫২ 聽 বল্লালচরিত উত্তরখণ্ড । ব্রাহ্মণ-পাবনা জেলায় ব্রাহ্মণের সংখ্যা ২২৫২৫ জন। ইহার মধ্যে পুরুলসংখ্যা স্ত্রীলোক অপেক্ষ ১২০৭ জন বেশী। অন্তান্ত জাতির দ্যায় ব্রহ্মণ হ্রাস না হইয়৷ বরং কিঞ্চিৎ বৃদ্ধি পাষ্টয়াছে। এই জেলার ব্রাহ্মণ সমাজে বায়েন্দ্র ব্রাহ্মণ সংখ্যাই অত্যধিক। ইহাদের অধিকাংশই আদিশূর কর্তৃক কনৌজ হইতে আনীত পঞ্চব্রাহ্মণের বংশধর বলিয়া পরিচয় দিয়া থাকেন। ইহাদের মধ্যে বাগছী, ভাড়া, লাহিড়ী, মৈত্র ও সান্তাল পরিবার সমধিক প্রসিদ্ধ ও কুলীন। এতদ্ব্যতীত বরেন্দ্রব্রাহ্মণ সমাজে