পাতা:পাবনা জেলার ইতিহাস ( ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

४ग्न °: ] বিভিন্ন জাঠি ৫ সনাঞ্জ । 鋼織 অধ্যাপকের বাস ছিল । কোন কোন, গ্রাম প্রসিদ্ধ পণ্ডিতগণের নামানুসারে কথিত ও পরিচিত হইত যথা— সিদ্ধাস্তবাগমারী; গ্রামবিশেষের কোন কেন বাড়ীতে বহুল পরিমাণে পণ্ডিত ও অধ্যাপকের বাস ছিল, তজ্জন্ত তাহদের বাড়ী অস্থাপি “সিদ্ধাস্তবাড়ী” স্তায়বাগীশবাড়ী ; প্রভূতি নামে খ্যাত হইয়া থাকে, সালিখায় এ দৃষ্টান্ত আজিও বর্তমান আছে । এক্ষণে টোয়ের প্রাচীন শিক্ষা পদ্ধতি এই জেলায় হ্রাস পাইয়াছে। কিন্তু আধুনিক বিখ বিদ্যালয়ের এম, এ, বি, এ, পরীক্ষেত্তীর্ণ উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তির সংখ৷ হিসাবে এই জেলার ভারেঙ্গা, হরিপুর, হাটুরিয়া, স্তুতিবদ ও ক্ষেতুগাড় প্রভৃতি পল্লী সমূহে অনেক শিক্ষিত ব্রাহ্মণ পরিবারের বাস । এই সমস্ত পল্লীর ব্রাহ্মণাদি মধ্যে অনেকেই ওকালতি মোক্তারি ডাক্তারি আদি ব্যবসায়ে শীর্ষ স্থান অধিকার করিয়াছেন এবং জেলা মধ্যে ও জেলার বাহিরে অনেকে সুন}ম অর্জনে সমর্থ হইয়াছেন। এই জেলার ভূম্যপিকারী সম্প্রদায় মধ্যে র্তাতিবনা, পোরজনা, শিতলাই, সলপ, স্থল প্রভৃতি গ্রামের জমিদারগণ সকলেই ব্রাহ্মণ সমাজভূক্ত ; এতদ্ব্যতীত অনেকানেক গ্রামের প্রধান প্রধান তালুকদার জোতদারগণ মধ্যে অনেকেই ব্রাহ্মণ সমাজান্তর্গত এবং ব্রাহ্মণগণ এইরূপে জেলার অধিকাংশ ভূসম্পত্তির নীলিক ব্রাহ্মণ সমাজে শিক্ষিত সংখ্যা অধিক বিধায় আফিস আদালতে এবং ওকালতি মোক্তারি ডাক্তার কবিরাজ প্রভূতি ব্যবসায় ক্ষেত্রে সৰ্ব্বত্র ব্রাহ্মণ সংখ্যা অধিক। পাবনা ও সিরাজগঞ্জে অনেকানেক কুলীন ব্রাহ্মণাদি সৰ্ব্বপ্রকার ব্যবসায় ক্ষেত্রে অগ্রসর হইয়াছেন। পাবনা অপেক্ষ সিরাজগঞ্জে চক্রবর্তী, চাটুষ্যে, ভট্টাচাৰ্য্য উপাধিক ব্রাহ্মণ দোকানদারের সংখ্যা অধিক পরিলক্ষিত হয়। আজকাল জমি জমা লইয়া অনেক ব্রাহ্মধুগণ নিজ হস্তে চাষ জীবাদে । লিপ্ত হইয়াছেন । ১৯৯৫ সালের স্বদেশী আন্দোলনের পর হইতে অনেক । ব্ৰাহ্মণ সস্তান নিজ হাতে র্তীতের কার্য্য ও মোজা গেঞ্জির কার্য্য আরম্ভ করিয়াছেন । সয়দাবাদ নিবাসী চক্ৰবৰ্ত্তী পরিবার ও করঞ্জ নিবাসী লাহিড়ী পরিবারস্থ কেহ কেহ নিজ হাতে লাঙ্গল ধরিয়া চাৰ আবাদ কার্য্যে লিপ্ত হইয়াছেন। উপরোক্ত বিবরণমূসারে উপলদ্ধি হইতেছে যে অধুনা এই জেলার ব্রাহ্মণ সমাজের অনেকানেক ব্যক্তি ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, ধৈগু, শূদ্রাদি সকল