পাতা:পাবনা জেলার ইতিহাস ( ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাবনা জেলার ইতিহাস । [ ১ম অঃ می:) গুমারী উপলক্ষে নানা আন্দোলনের ফলে পূৰ্ব্ববঙ্গীয় গোঁসাহ বা সেঁলোকগণ আপনাদিগকে বৈপ্ত এবং পশ্চিম বঙ্গীয় শৌণ্ডিকগণ আপনাদিগকে ক্ষত্রিয় বলিয়া প্রতিপন্ন করিয়াছেন । “ সাহ! জাতি সনাতন গুৈপ্ত এবং শৌণ্ডিক জাতি মূলে ক্ষত্রিয়, মন্ত ব্যবসায়ে বৈপ্ত ; তুষামাল বিক্রয়ী খন্দসাহা ও মন্ত ব্যবসায়ী শোণ্ডিক (উড়ি) দুই স্বতন্ত্র জাতি। অধুনা উভয় জাতিই বৈপ্ত বলিতেছে।” শ্ৰীনারায়ণচন্দ্র সাহা কৃত "বৈপ্ত খন্দলাহা ও শোণ্ডিক”। ভূমিকাংশ • ল|হাজাতির অনেৰে ষণ্ড বা ਬੱਂ উপর পণ্যদ্রব্য লইয়া হাটে বাজারে বিক্রয় করিত। এই সাহা সমাজে পাবনা জেলায় বালদিক বা বলদে পঠী নামে সাহাদিগের মধ্যে এক পঠী দেখা যায়। সিরাজগঞ্জের উত্তরাংশে হাট বয়রা গ্রামে সাহাদিগের মধ্যে ছোট ছোট ঘোড়ার উপর মালপত্র বহনের প্রথা অদ্যপি বৰ্ত্তমান আছে। উত্তরকালে ষণ্ড বা বলদ অভাবে উহার ঘোড়ার সাহায্য লইয়াছে। এই যণ্ড বা র্যtড় বাহিত পণ্যদ্রব্য বিক্রেতা সাৰ্বজাতি কালক্রমে শুণ্ডি বা শুড়ি বা শোণ্ডিক জাতির সহিত নামের উচ্চারণ সাদৃপ্তে একত্রীভূত হইয়াছে। তজ্জন্ত কুষ্টীয় নিবাসী শ্ৰীযুক্ত রামলাল সাহা মহাপ্রয়-লিখিয়াছেন— “শোণ্ডিকের অপভ্রংস শুড়ি সবে বলে । এ কারণ শুড়ি সাহা তাহারা সকলে । সাহসাহা, গুড়িসাহা ভিন্ন ভিন্ন হয়। অন্ত লোকে নাহি জানে দুই এক কয় ॥” স্বপ্রসিদ্ধ প্রত্নতত্ত্ববিদ প্রাচ্যবিদ্যামহার্ণব ঐযুক্ত নগেন্দ্রনাথ বস্থ মহাশয়ের সঙ্কলিত "বৈষ্ঠ কাগু” এবং সুবিখ্যাত পরিব্রাজক স্বৰ্গীয় ধৰ্ম্মানন্দ মহাভারতী কৃত “সিদ্ধাস্ত সমুদ্র” গ্রন্থাদি পাঠ করিলে এই জাতির বৈপ্তত্ব সম্বন্ধে অনেক ভস্তু অবগত হওয়া যায় । সু বর্ণ বণি ক– পাবনা জেলার সুবর্ণ বণিক সংখ্যা ১২৬৬ জন; অষ্ঠাষ্ঠ জাতির স্তায় ইহাদের সংখ্যাও অনেকাংশে হ্রাস হইয়াছে। পাবনা টাউন, গোবিন্দপুর, সাহাজাদপুর, ঝাউল, চাঁদপুর, কালিয়াহরিপুর, বিয়ার প্রভৃতি স্থানে অনেক সুবর্ণ বণিক জীপ্তির বাস। ইহারা সাধারণতঃ