{} 劇 ৩য় পঃ] বিভিন্ন জাতি ও সমাজ । (సి বাণিজ্য কারবারাদিতে লিপ্ত। ব্যবসায় হিসাবে বণিক জাতি নিম্নলিখিত ৫ পাঁচ শ্রেণীতে বিভক্ত যথা –
- ংগান্ধিক শঙ্খিক কংসক মণিকারক । সুবৰ্ণজীবিকশ্চৈব পঞ্চেভে বণিকস্মৃত ॥”
পরশুরাম সংহিত । ইহারা সকলেই বৈপ্ত বর্ণান্তর্গত এবং হিন্দু সমাজে আচরণীয়, কেবল মাত্র সুবর্ণ বণিকগণ সমাজে অনাচরণীয়। প্রবাদ বল্লাল সেনের সময়ে ইহাদের ধন সম্পদ হেতু ইহার রাজার অপ্রিয়ভাজন ইয়া মুছে পত্তিত হইয়tছন । সূত্রথৱ— পাবনা জেলার স্বত্রধর সংখ্যা বর্তমানে ১২৩•• । পূৰ্ব্বে আরও বেশী ছিল । ইহীদের মধ্যে স্ত্রীলোক অপেক্ষা পুরুষ সংখ্যাই বেশী। সৰ্ব্বত্রই প্রায় ২৪ ঘর স্বত্রধর বা স্থতার জাতির বাস । অধুনা দেলুয়া নিবাসী বেলকুচির স্বত্রধরগণ প্রসিদ্ধ কারিকর। দেশীয় নানাপ্রকার নেীক নিৰ্ম্মাণ, কপাট, জানালা, লাঙ্গলাদি প্রস্তুত ইহঃদর প্রধান ব্যবসায় । কাষ্ঠ শিল্পী হিসাবে ইহার সমাজের অত্যাবস্যকীয় জাতি ৷ ইষ্টাদের সংখ্যা ক্রত হ্রাস হইতেছে। অধুনা অনেক মুসলমান স্বত্রধরের ব্যবসায় অবলম্বন করিয়া জীবিকা অর্জন করিতেছে । আরাম বাড়িয়া মাজপাড়া প্রভৃতি অঞ্চলে অনেক নমঃশূদ্র, জালিক ও মুসলমান জাতিগণ বাবল কাষ্ঠ_দ্বারা গোগাড়ির চাক তৈয়ার করে। এতদঞ্চলে ইহা বহুল পরিমাণে বিক্রয় হয় । সুত্রধর জাতির মধ্যে স্থলবিশেষে অনেক সুগায়ক ও সাধক পুরুষ দেখিতে পাওয়া যায় । ইহার সাধারণত: নিরীহ ও সরল প্রকৃতি । ছোtঙ্গী—যোগী বা চলিত ভাষায় যুগী ; জাতির সংখ্যা এই জেলায় ৮৬৫ জন। ইহাদের সংখ্যা পূৰ্ব্বে এক হাজারের উপর ছিল। পাবনা রাধানগর, পোতাiজয়া, বড়ধুল, ধানঘরা, লাহোর, প্রভৃতি গ্রামে অনেক যোগী বা যুগী জাতির বাস। বর্তমানে স্থানে স্থানে ইহার চুর্ণকারের ও বাদ্যকরের ব্যবসায়ে লিপ্ত। স্থানে স্থানে কেহ কেহ দোকানদারী মহাজনী কারবারেও লিপ্ত। অধুনা ইহাদের সামাজিক আচার ব্যবহার লবিশেষ উন্নত নহে । ইহার সকলেই জাতি স্থানে “নাথ” বলিয়া উল্লেখ করে। রুদ্র মহাদেব হইতে জাত বলিয়া ইহাদের সকলেই শিব গোত্রিয়। ইহারা দেউল পুঞ্জয়
