পাতা:পাবনা জেলার ইতিহাস ( ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় প; } বিভিন্ন জাতি • ও সমাজ । .لاتف কর্তৃক মুসলমান ধৰ্ম্ম গ্রহণ করিতে বাধা হয়েন। পাঠান আমল হক্টতে পাবনা জেলার সহজাদপুর পল্লী প্রতিষ্ঠার সূত্রপাত হয়। বক্তিয়ার খিলিজির বঙ্গাধিকার কালের সমকালেই উক্ত পল্লীতে সাহজাদা মকদুম সাহেবের অবস্থান জনা যায়। নবগ্রামে সুলতান হোসেন সাঙ্গের পুত্র মুলতান নসরৎ সাহের পুত্র সময়ে নিৰ্ম্মিত মসজিদ, সমাজ গ্রামে সের সাহের পুত্র সুলতান সলিম ব! সমির সাহের সময়ে নিৰ্ম্মিত মসজিদ এবং চাটমহরে মাগুম খাঁর সময়ের প্রাচীন মসজিদাদি দৃষ্টে জানা যায় পাঠান আমলে এদেশে অনেকানেক মুসলমান স্থায়ী হইয়াছিলেন । পাবনার সাহােজাদপুর, মরিচপুরাণ, চাটমহর পাঠানপীড়া, আফু দিপাড়া সয়দাবাদ বা সৈয়দাবাদ এবং সদরের জালালপুর, হামিদপুর ইয়াকুপপুর, ইসমালীপুর প্রভূভি পল্লী দৃষ্টে অনুমান হয় পাঠান আমলে এই জেলার বহু স্থানে অনেক মুসলমান বীরপুরুষ এবং সন্ত্রাস্ত ও ভদ্র পরিবারের বসতি বিস্তার ঘটয়াছিল। তাহাদের বংশধরগণই কালক্রমে নিঃস্ব অবস্থায় পরিণত হইয়া সাধারণ মুসলমান বলিয়া প্রতীয়মান হইতেছে। অধুনা ছাতক, বরাট, বাগমৃজাপুর, মামুন্দিয়৷ অামিনপুর, তালিমনগর, আমিরাবাদ প্রভূতি পল্লীতে মিরজী উপাধিক যে সাধারণ মুসলমানের বfস, তাহদের অনেকে মোগল আমলে এক সময়ে আরঙ্গজেবের সহোদর দারার পুত্র সোলেমান- ওরফে স্ট্রকুবেগের বংশধর বশি পরিচিত হইত। ইহাদের মিজ উপাধিই উচ্চ বঁটর পরিচায়ক। এতদ্ব্যতীত আরও অনেকস্থলে উচ্চ বংশীয় মুসলমানের বাস আছে। এ জেলার মুসলমানগণ মধ্যে মুন্নি সংখ্যাই অধিক । হিন্দুগণ অপেক্ষ মুসলমানদিগের মধ্যে ধৰ্ম্মবিশ্বাস ও রোজ নামাজ আবালবৃদ্ধ সকল শ্রেণী মধ্যেই সৰ্ব্বত্র পরিলক্ষিত হয়, প্রকৃত ধৰ্ম্মভাব সকলের মধ্যে আছে বলিয়৷ বোধ হয় না। পূৰ্ব্বে গাজীর বঁাশ তৈালার, প্রথা অধিক পরিমাণে স্থানে স্থানে দেখা যাইত । নাজিরগঞ্জে সবিশেষ ধুম ছিল, এক্ষণে এই প্রথা অনেকাংশে হ্রাস হইয়াছে । মুসলমানদিগের মধ্যে সাধারণতঃ মোল্লাগপারিবারিক সৰ্ব্বকার্য্যে ধৰ্ম্মক্রিয়ার সহায়ক । মুসলমান সমাজে এই জেলার স্থানে স্থানে ফারাঞ্জি সম্প্রদায় বিদ্যমান আছে। তাহারা লম্ব চুল রাখে এবং সাধারণ কাপড় অপেক্ষ তহবন অধিক ব্যবহার করে।