পাতা:পাবনা জেলার ইতিহাস ( ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

e পাবল জেলার ইঙিহাস । ". { ২য় শঃ বোড়া, ঘরমোহিনী, সখিনী, f কেউট, লাউঞ্জাল, বিঘরিয়া বোড়া, চন্দ্রবোড় ধোড়া প্রভূতি বহু প্রকার সর্প দেখিতে পাওয়া যায়। ইহাদের কতক ফণা বিশিষ্ট এবং কতৃক ফণা বিহীন । স্থানে স্থানে জঙ্গলে ও জলাশয়ে কালাই সাপ নামক এক প্রকার ১৪।১৫ হাত লম্বা এবং ২ ৩ ফুট বেড় বিশিষ্ট সাপ সময় সমন্ন দেখিতে পাওয়া যায় । এই সমস্ত সাপ অনেক সময় ছোট ছোট বাছুর ও বকরী পর্য্যস্ত গিলিয়া ফেলে তজ্জন্ত ইহার সচরাচর অজাগর নামে পরিচিত। সাধারণতঃ রৌদ্র ও বর্ষ সময়ে এই সমস্ত সাপ বাহির হয়। এই সমস্ত সৰ্পের সমস্তই সরিস্কপ এবং বুকে হাটিয়া চলে, কিন্তু এর দ্ব্যতীত এদেশের অনেক জঙ্গুণে গুই সাপ নামক চতুস্পদবিশিষ্ট সাপ আছে। বাৎসরিক সর্পাঘাতে মৃত্যুর সংখ্যা ১ম খণ্ডের ৮০৮১ পৃষ্ঠায় প্রদত্ত হইয়াছে। তাহাতে জানা যায় বার্ষিক প্রায় দুইশতাধিক লোক সর্পাঘাতে शृङ्खाभू:थ °ठिङ श्य । দ্বিতীয় অধ্যায়—দেশের অবস্থা _ -- প্রথম পরিচ্ছেদ সামাজিক, =ৈাতিক ও আর্থিক অবস্থা । সামাজিক— বহু কুলীন ও সস্ত্রান্ত ব্রাহ্মণ কায়স্থাদি হিন্দুজাতি এই জেলার অধিবাসী । কেবলমাত্র রক্ষণশীল ব্রাহ্মণ পণ্ডিত ও পল্লীবাসী সাধারণে অশিক্ষিত পদবাচ্য ইতর ভদ্র জনসাধারণ ব্যতীত নব্য শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তিগণের অনেকেই প্রাচীন সামাজিক আচার নিয়ম বর্জিত, সদচার, ধৰ্ম্মভাব ও ক্রিয়াকলাপ শূন্ত । সমাজসংস্কার, সামাজিক উন্নতির চেষ্টা, বিবাহাদিতে পণপ্রথা নিবারণের আন্দোলন সৰ্ব্ব সমাজে পরিলক্ষিত হইলেও অধুনা কন্যাদয়গ্রস্থ ব্যক্তির সংখ্যা ক্রমশঃ বৃদ্ধি পাইতেছে । শিক্ষিত হিন্দুগণের মধ্যে অনেকেই প্রাচীন আচারপদ্ধতির নানারূপ পরিবর্তন প্রয়াসী হইয়া অনেক স্থলে সন্ধাবনানাদি বিবর্জিত হইলেও, শিক্ষিত মুসলমান সমাজে নামাজাদি প্রথার বিশেষ হ্রাস হয় নাই।