পাতা:পাবনা জেলার ইতিহাস ( ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ર્વ જ ] স্বাস্থ্য ও ব্যাধি । br 6: লোক কম ব্যবহার করে । বিবাহাদি ব্যাপারে নিমন্ত্রণে লুচিমিঠাই ব্যবহারের প্রচলন আছে। খিচরি পোলয়াদিও স্থলে স্থrল খাওয়ার রীতি আছে। মাংসাদি মধ্যে পাট, খাসি, মুরগি আদির ব্যবহার বেশী। 博 রুটি, বিস্কুট, চা, সেড়ি লেমনেড অধুনা সৰ্ব্বত্র প্রচলিত। মদ্যপান অল্প বিস্তর দেখা যায়। নিমগাছী অঞ্চলে মুণ্ডাজী চীফ লোকের মধ্যে পচাই নামক দেশীয় প্রথায় তৈয়ারী মদ্য পানের অধিক রীতি অftছ । মদ্য গাজা । আফিমাদি বিক্রয় হইতে এই জেলায় বার্ষিক গড়ে দুই লক্ষাধিক টাকা গধর্ণমেণ্টের আয় আছে। জামাক সিগারেট বিড়ি সৰ্ব্বত্র প্রচলিত । স্বাস্থ্য— এই জেলার স্বাস্থ্য মোটের উপর মন্দ নহে । ১৮৯৭ অব্দের ভূমিকম্প হইতে এই জেলার স্বাস্থ্য অনেকাংশে উন্নত হইয়াছিল। এই জেলার অনেকস্থল লি নদী নীল বেষ্টিত জন্য বার্ষিক পশ্চিমাংশ হইতে-পূৰ্ব্বাংশ দিয়া জলরাশি বহির্গত হইয়া যায় জন্য স্বাস্থ্যের অনেকাংশে উন্নfত হয় । ইহাতে দেশের জমি ও সারবান হয় । কিন্তু জলের গতি বদ্ধ হইয়| বিলাদিতে পরিণত হইলে দেশে নানাপ্রকার ব্যাধি জন্মে। দেশের লোকে নানাপ্রকারে মৃত্যুমুখে পতিত হয় । চলনবিল বড়বিল মধ্যে ও করতোয় প্রদেশস্থ নিমগাছী, গণ্ডিযাল, বাঘলবার, সিদ্ধিনগর প্রভৃতি অঞ্চলের অনেক স্থলে বহু প্রাচীন দীঘী, পুষ্করিণী, মন্দির মসজিদ ও পাকা ইষ্টকালয়দি দর্শনে অনুমিত হয়, পূৰ্ব্বে এই সমস্ত স্থান অতি স্বাস্থ্যকর ছিল তথায় অনেক সমৃদ্ধশালী লোকের বাস ছিল । কালে তথাকার স্বাস্থ্য নষ্ট হওয়ায় কালক্রমে তথাকার অবনতি ঘটিয়াছে। * ব্যাধি—-(১) ম্যালেরিয়া জর এই জেলার ব্যাধি মধ্যে সৰ্ব্বপ্রধান । ইহাতে বার্ষিক গড়ে হাজার করা ২৬.৬০ জুন মারা যায়। কালজির অধুনা দেখা যাইতেছে। (২) কলেরা, সাধারণতঃ শরং ও গ্রীষ্মকালে অধিক দেখা দেয় ; বার্ষি ক গড়ে হাজার করা ১৯২ জন মরে । কোন কোন সময়ে গ্রাম বিশেষে শতকরা ৫ • {৫২ জন লোকও মরিতে দেখা ষায় । (৩) বসন্ত থোষ পাচড়া প্রভূতি ব্যাধি এই জেলার সর্বত্র দেখা যায়। বসন্তু কোন সময় সংক্রামক আকার ধারণ করে। (৪) আমাশয় কোন কোন সময় সংক্রামক হইয় থাকে। হুরসাগর নদীর পূৰ্ব্বপুর হইতে