পাতা:পারস্য ইতিহাস.djvu/১০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3 е 8 হরিণী হইয়া বনে ভ্ৰমি প্রতিদিন । রাজ সিংহাসনে মুখে বশে উদাসীন ॥. : অনায়াসে জেমোদীর প্রভুত্ব লইল । ইহা ভাবি আরো প্রাণ ব্যাকুল হইল ॥ রহিল তাহার কায় পড়িয়া কাননে । শাসিতে লাগিল প্রজা আনন্দিত মনে ॥ কি জানি ভাবিল পাছে সেই বিদ্যা বলে । পুরী প্রবেশেতে পারি যদি কোন ছলে ॥ তবে তার সংহার নিশ্চয় ভাবি মনে। আজ্ঞা দিল বিনাশিতে যত মৃগী গণে ॥ এই কৰ্ম্মে প্রজাদের প্রবৃত্তি কারণ। রাজ্যময় এই কথা করিল ঘোষণ ॥ যে আনিয়া মৃগ মুণ্ড দেখাবে আমাকে । প্রতি শিরে ত্রিশ মুদ্রা দিব আমি তাকে ॥ ধন লোভে মুগ্ধ হয়ে প্রজার ত্বরিতে । বাহির হইল মৃগী বিনাশ করিতে ॥ নগরের চারি দিকে অন্বেষণ করে. করে ধনুঃ পৃষ্ঠে তুণ পরিপূর্ণ শরে ॥ বেড়ায় অরণ্য গিরি করিয়া সন্ধান । স্থানে স্থানে হরিণীর হরিয়া পরাণ ॥ অামার অদৃষ্ট ভাল মরি নাই বাণে । তাহার বৃত্তান্ত শুন বলি এই স্থানে। বুলবুল নামে এক পক্ষী মনোনীত । তৰুতলে মৃত দেহ দেখি আচম্বিত ॥ মন্ত্র বলে তার দেহে প্রবেশ করিয়া । চলিল।iম শুন্য মার্গে পুরী উদ্দেশিয়া ॥ অন্তঃপুর উদ্যানেতে ছিল তরুবর । তাহার নিকটে প্রিয়ে জেমোদীর ঘর ॥ সেই বৃক্ষে বসি দুঃখে ভাসি নিশি দিন। ফাকি দিয়া কত সুখ করে উদাসীন ॥ স্বচক্ষে দেখিয়া বক্ষ বিদরিয়া যায় । পক্ষীর যেমন দুঃখ ব্যক্ত করি তায় ॥ এক দিন নিশি শেষে মিলি পক্ষিসব । তরুণ অকণ হেরি করে মিষ্ট রব ৷ পারস্য ইতিহাস । তাহাদের মাঝে আমি অস্থখী কেবল । দর দর ঝরে দুই নয়নেতে জল ৷ রাখি বারি পূর্ণ আঁখি জেমেীর ঘরে । বিলাপ করিয়া কত ডাকি উচ্চৈঃস্বরে ॥ শুনি সুমধুর স্বর জেমোদী রমণী । গবাক্ষেতে দাণ্ডাইল আসিয়া তখনি। প্রিয়েকে হেরিয়া অভ্যারো করি বিলাপন। ভাবি কোন ৰূপে যদি বুঝে তার মন ॥ হায় হায় দুঃখ মোর কিছু না বুঝিল । কৌতুক করিয়া আরো হাসিতে লাগিল । এই ৰূপে কত দিন উদ্যানেতে থাকি । প্রত্যহ নিশির শেষে মন দুঃখে ডাকি ৷ গবাক্ষে বসিয়ণ রামা শুনে প্রতি দিন । বিহঙ্গের প্রেমে ক্রমে হইল অধীন। ডাকিয়া কহিল রাণী শুন অারে সখী । নিতান্ত বাসনা এই বিহঙ্গেরে রাখি ॥ ব্যাধ ডাকি কহ শীঘ্ৰ ধরিতে উহারে । পাগলিনী করিয়াছে বিহঙ্গ অামারে । সখীরা ডাকিয়া ব্যাধ আনিল ত্বরিতে। পাতিল তাহারা ফাদ অামাকে ধরিতে ॥ ধরিয়া রাণীর করে দিল মোরে অানি । প্রফুল্প অন্তরে প্রিয়ে কহে মৃদু বাণী ॥ হায়রে প্রাণের পক্ষী গান কর তুমি । তোমার গোলাপ ফুল হইলাম আমি । মস্তক চুম্বিল রাণী একথা বলিয়ণ । অমনি অধরে চঞ্চ দিলাম তুলিয়া । হাসিয়া কহিল রাণী হেদে দেখ সখী । শুনিয়া বুঝিল কথা কি চতুর পাখি । ংক্ষেপে কাহিনী বলি শুন অতঃপরে । রাখিল অামারে রাণী সুবর্ণ পিঞ্জরে ॥ প্রত্যহ যামিনী শেষে জাগিলে সে ধনী । শুনাই তাহারে গান করি নানা ধ্বনি ৷ অতি শাস্ত অল্প দিনে দেখিয়া অামায় । রমণীর অনুরাগ বাড়িল তাহায় ॥