পাতা:পারস্য ইতিহাস.djvu/১৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

拉 المـسسق عكسة শুনি কামিনীর বাণী কম্প কলেবর দশদিক শূন্য দেখি নাহি সরে স্বর ॥ কান্দিয়া কহিনু তারে শুনগো সুন্দরী । কেমনে বাচিব বল কি উপায় করি ॥ রমণী হাসিয়া কহে কেন ভাব আর । কপাল প্রসন্ন বড় আজিহে তোমার ॥ হের দেখ আমি নারী ষোড়শ বয়সী। নানা গুণে গুণবতী পরম ৰূপসী ॥ অামি বলি মুন্দরী কি দিবে পরিচয় । শশি বিনা উপবনে হেরি চন্দ্রোদয় ॥ কি জানি প্রশংসা অামি করিব তোমার । ভেবে দেখ এখন কি সময় অামার ॥ নারী কহে সত্য বটে সময় এ নয় । কিন্তু নাহি দেখি কোন চিন্তার বিযয় ॥ অ মোর বচন ধর মনে মান মুখ । কালি কি হইবে তার আজি কেনদুঃখ । কি ফল বিফল তত্ত্ব ভাবির বিচার । এখন করেতে তব মুখের ভাণ্ডার ॥ বৰ্ত্তমানে বৃত হও ত্যজি ভাবি ভাব । বিজ্ঞ জনে নাহি ত্যজে উপস্থিত লাভ ॥ অামি কে রমণী তুমি কিছু তো জানন। জানিলে মানিতে স্থখ ত্যজিতে ভাবনা ॥ এত যদি রসবতী আশ্বাস করিল। মুখ তাশে প্রেম ফাসে মানস পড়িল ৷ ক্রমে ক্রমে গেল ভয় বাড়িল অাশয় ॥ মনে ভাবি অার তবে করে করি ভয় । এমন সুন্দরী পেয়ে ছাড়ে কোন জন । এখন ছাড়িব যদি পাইব কখন ॥ এত ভাবি কর তার করিনু ধারণ । ধরিতে উঠিল ধনী করিয়া ক্ৰন্দন ॥ অমনি রমণী এলো দশ বার জন । দেখিয়া মনেতে ভাবি এ অার কেমন ৷ হবে বুঝি কোন সখী কৌতুক ভাবিয়া । বিক্রপ করিছে আসি আমাকে লইয়া ॥ পারস্য ইতিহাস । S 8 × হাসি হাসি নারীগণ আসি তার কাছে। দেখে রামা ভয়েতে কম্পিতা হইয়াছে। বল বল কেলিকারী কহে এক জন । আর কি কৌতুক তুই করিবি এমন । কেলি বলে আর ভাই না চাহি কৌতুক। যা করেছি তাই ভাল পাইয়াছি মুখ ॥ সখীগণ ঘেরিল আমার চারি পাশ । করিতে লাগিল কত হাস্য পরিহাস ॥ এ বড় প্রেমিক ভাই এক জনা কহে । মজিয়াছে মন মোর মন কিসে রহে ॥ অার জন বলে ভাই সদা ভাবি তাই । এ হেন পুরুষে যেন নির্জনেতে পাই ॥ কথায় কথায় হাসে সব সখীগণ । বাক্য নাহি সরে মোর দেহ অচেতন . আহা মারি অাহা মরি করে কোন জন । প্রভা ত হইলে কালি নিশ্চয় মরণ ॥ এমন রমণী ভক্ত যেই জন হয় । তাহার জীবন দণ্ড করা যুক্ত নয় ॥ রাজ কন্যা সম্বোধিয়া কহে এক নারী ! সকলের হত্রী কী তুমিতে সুন্দরী। কহ শুনি এ জনের কি হবে উপায় । ফেলিয়া যাব কি মোরা বাচাব ইহায় ॥ কন্যা কহে কায নাই মারিয়া এবার । লয়ে চলো আজি ওরে মন্দিরে আমার ॥ পুরুষ কখন যাহা দেখেন দেখিবে । অবলা সরলা অতি অবশ্য মানিবে ॥ অবিলম্বে নারী বেশ অানায় কামিনী । লয়ে যায় অন্তঃপুরে সাজায়ে বন্দিনী ॥ কিবা মনোহর ঘর দেখিলাম গিয়া । করিয়াছে আলোময় গন্ধবাতি দিয়া ॥ যেমন রাজার সভা কন্যার তেমন । রত্নসন চারিদিকে অতি স্থশোভন ॥ কার্চপ কাযের গদি বিংশতি সংখ্যায় । মণ্ডল আকার পাতা ঘরের মেজীয় ॥