পাতা:পারস্য ইতিহাস.djvu/১৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> やケ পুনঃ গিয়া আমি তার উদ্দেশ করিব । নিতান্ত না পাই যদি নিশ্চয় মরিব ॥ " প্রতিজ্ঞা করিয়া মনে তথা হতে যাই । অদূরে বিজন বন দেখিবারে পাই ॥ উপনীত হয়ে সেই কানন ভিতর । মধ্যস্থানে হেরি এক পুরী মনোহর । চৌদিকে বেষ্টিত খেয় পরি পূর্ণ জলে । মনোহর সেতু তায় রয়েছে কৌশলে ॥ - পার হয়ে গড় খাই যাই পুরি পানে । প্রাঙ্গণ সকল বান্ধা ধবল পাষণে ॥ পুরির দ্বারেতে পরে হই উপনীত । সুগন্ধি চন্দন কাষ্ঠে হয়েছে নিৰ্ম্মিত ॥ পশু পক্ষী নান। জন্তু প্রাচীরে প্রচীর । সিংহাকার তালা দিয়া বদ্ধ দুই দ্বার ॥ রহিয়াছে স্বর্ণ চাবি তাহাতে লাগিয়া । চাবিতে দিলাম হাত খুলিব ভাবিয়া ॥ স্পর্শনাকরিতে তালা ভাঙ্গিয়া পড়িল। . দেখিয়া অবাক দ্বার আপনি খুলিল । পুরী প্রবেশিয়া পরে উঠিয়া উপরে। অনুপমা নারী এক দেখি গিয়া ঘরে । বিচিত্র পালঙ্কে ধনী করিয়া শয়ন । বালিসে অালিস রাখি মুদিত নয়ন ॥ মন্দ মন্দ সুন্দরীর বহিতেছে শ্বাস । মণি মুক্তল অভরণ মণিময় বাস ॥ মুগ্ধ প্রায় কিছু কাল দাও ইয়া থাকি। হেরিয়া লাবণ্য নিভা নাহি উঠে আঁখি। মনে ভাবি এই দ্বীপে নাহি জন প্রাণী। এহেন সুন্দরী নারী কে রাখিল আনি ॥ কাহার নন্দিনী ধনী একাকি রমণী । বিশেষ জানিতে বাঞ্ছা হইল অমনি ॥ কোন মতে নাহি উঠে ঘুমে অচেতন । ভাঙ্গিতে তাহার নিদ্রা নহেক মনন ॥ মনে ভাবি ক্ষণকাল যাই স্থানান্তরে । আসিব রিলম্ব করি নিদ্রা ভঙ্গ পরে। পারস্য ইতিহাস । এত ভাবি দুর্গ হতে দ্বীপ মাৰে যাই । দূরভাগে দুষ্ট জন্তু দেখিবারে পাই ॥ ভয়ঙ্কর মূৰ্ত্তি ধরে সিংহের আকার । চৌদিকে চলিল কত সীমা নাহি তার ॥ দেখিয়া বিকট দন্ত মনে ভয় লাগে । আমার গমনে বনে কিন্তু তারা ভাগে । অার অার পশু আমি দেখি কত শত । ভাবি মনে গ্রীসে বুঝি কিন্তু পদানত ॥ অাহার বিশ্রাম করি বসিয়া কাননে । , চলিলাম পুনৰ্ব্বার কন্যার সদনে ॥ তখনো নিদ্রিতা নারী পালঙ্ক উপরে। জাগাইতে নানা শব্দ করি সেই ঘরে ॥ তবু নাহি ভাঙ্গে নিদ্রা নাহি দেয় সাড়া । অবশেষে বাহু ধরি দেই তারে নাড়া ॥ তথাপি না ভাঙ্গে ঘুম না হয় চেতন । তখন মনেতে ভাবি বৃথায় যতন ॥ এ নিদ্রা সামান্য নয় মায়া নিদ্রা বটে । মন্ত্র বিনা এই মায়া কার সাধ্য কাটে । জাদুর প্রভাব ভাবি ভাবি মনে মন । কেমনে এঘোর নিদ্র হইবে মোচন ॥ সবুজ প্রস্তর এক দেখি শয্যা কাছে । ভৌতিক বিদ্যার অঙ্ক তাতেলেখ আছে। কিবা তন্ত্র মন্ত্র লিখা বুঝিতে না পারি। ভাবিয়া চিন্তিয় সেই শিলা ধরে নাড়ি ৷ স্পর্শ মাত্রে যুবতীর হইল চেতন । দীর্ঘ শ্বাস ছাড়ি মুক্ত করিল নয়ন ॥ কওহে কে তুমি হেথা ত্রাসে রামা কয় দেব কি দানব সত্য কহ পরিচয় ॥ এই দুর্গ মনুষ্যের কভু গম্য নয় । মায়াচ্ছন্ন চারি পার্শ্বে অাছে বিঘ্ন ভয় কেমনে এসব লঙ্ঘি আইলে এখানে । মানব কখন নহ বুঝি অনুমানে ॥ কহিলাম ৰূপবতি কিছু নাহি ডর। দেব দৈত্য নহি কেহ দেখ আমি নর।