পাতা:পারস্য ইতিহাস.djvu/২১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* У о পারস্য ইতিহাস । হেরেছি স্বপনে যাহণ বিপরীত তারি ॥ একি রঙ্গ কুরঙ্গ করিয়া প্রাণ পণ । জালে বদ্ধ মৃগীগণে করিছে যতন ॥ অণর চমৎকার হেরি হরিণী পলায় । বন্ধি মুগগণ পানে ফিরিয়া না চায় ॥ একি অসম্ভব ভার ভ্রান্তি মুলাপার । পুৰূষ কৃতজ্ঞ অতি কি সন্দেহ তার ॥ এই ৰূপ চিন্তা রামা করিছে যখন । গৃহে আসি ঋষিরাজ দিল দরসন ॥ সন্তু মে উঠিল ধনী ধরিতে চরণ । ফকীর চতুর অতি করিল বারণ ॥ সমাদরে বসাইয়া মৃদু ভাষে কয় ! বিপরীত রীত তব উপযুক্ত নয় । পবিত্র যে পথ তাহে কর অনাদর । এ জন্য ভূপালে দেখ সদত কান্তর ॥ কোন উপদেব তব স্কন্ধেতে চাপিল । মনুষ্যের প্রতি ঘৃণা তাহাতে জন্মিল ॥ কসয়ণ দেবেরে আমি পূজেছি বিস্তর। .শুভ দৃষ্টি করিবেন তোমার উপর ॥ কিন্তু তুমি মনে হেন স্থান নাহি দিবে। যত্ন বিনা এ সঙ্কটে তোমায় রাখিবে ॥ যত শক্তি কেন তার থকে না সুন্দরী । ভগ্ন তরী হলে পরে কি করে কাণ্ডারী ॥ সাধুবাক্য শুনি রাম নিশ্বাস ত্যজিল । যোগী পরে মৃদুস্বরে কহিতে লাগিল ॥ অীর না অজ্ঞান রাহু তোমায় গ্রসিবে । জ্ঞান শশী ক্রমে ক্রমে প্রকাশ হইবে ॥ যদ্যপি আমার কথা করহ ধাবণ । বিপদ হইলে শীঘ্ৰ হইবে মেচিন ॥ রাজকন্যা ঋষি বাক্য শিরেrধা করি । চলিলেন অন্তঃপুরে সঙ্গে সহচরী । পর দিন প্রাতে ধনী হইয়া সত্বর । মনে ভাবে একি দেখি বুঝিতে না পারি কামিনীকে এক দেখি কহে যোগিবর। যামিনীতে স্বপ্নকল্য দেখেছি বিস্তর ॥ কসয়া দেবতা মেরে স্বপ্নে দেখ দিয়ণ । কহিল বিস্তর কথা তোমার লাগিয় ॥ মনুষ্যের প্রতি অীর ঘৃণা তব নাই । সদয় তোমারে তাই হয়েছে গোসাই ॥ অধিকন্তু তোমা প্রতি এই অজ্ঞা হয়। বিবাহ করিবে পসাধিপের তনয় ; তব প্রেম হতাসনে দগ্ধ তার দেহ । তোমা বিনা মৃত্যু হবে নাহিক সন্দেহ i বিধ তার লিপি ইহা খণ্ডিব র নয় ; পতি সেই বাজ পুত্র হইলে নিশ্চয় ॥ ফরকস নাম তার রূপেতে অপসর । গুণে র্তার ধরাতলে নাহিক দোষর ॥ জননী এমন কেহ নাহি অবনীতে । এ হেন সন্তানে পরে উদরে ধরিতে ॥ কি বলিলে কন্যা বলে কথা অসম্ভব । প্রেম কোথা হইয়াছে কথায় উদ্ভব ॥ ন'হেfর নয়নে মোরে নৃপতি কুমাৱ । কিৰূপে এৰূপ প্রেম হইল সঞ্চার ॥ বিশেষিয়া কহ শুনি তদন্ত তাহর । একেমন প্রেম বলো হলো কি প্রকার । যোগী বলে একথা যে করিবে জিজ্ঞাসা । জানিয়া দেবতা আগে কহিয়াছে ভীষণ । শুন তবে যুবরাজ হেরিল স্বপন । এ কাঁকিনী বনে তুমি করিছ ভ্রমণ । মোহিত হইয়। ৰূপ হেরিয়া তোমার । নিকট হইল প্রেম করিতে প্রচার ॥ হেলায় ত্যজিয়া ত রে কহিলে সত্ত্বর । পুরুষ চঞ্চল অতি নহে স্থির তর । নরেন্দ্র নন্দনে তুমি ত্যজিলে যখন। যন্ত্রনায় নিদ্রা তার ভাঙ্গিল তখন ॥ দুঃস্বপ্ন বলিয়া দুঃখ দূর না করিয়া । পুনঃ আসি দেখা দিল সন্ন্যাসী গোচর। ; হৃদয়ে ভাবয়ে ৰূপ আনন্দে ভাসিয়া ।