পাতা:পারস্য ইতিহাস.djvu/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬ পারস্য ইতিহাস । পরের অধীন হয় নারীর জীবন । নাহি ক্ষণ সুখ, মুখ হইলে মরণ ॥ গুণের সাগর তুমি বণিক কুমার। তব ব্যবহারে মন মোহিত আমার ॥ বিশিষ্ট কুলেতে জন্ম জানিবে আমার । যতকাল না শোধিতে পারি এই ধার। আসিয়াছি তব স্থানে অজ্ঞাতে পিতার ॥ ততকাল মনস্থির না হইবে অার ॥ পিতা জানে গুপ্তধন আছে তব ঘরে । পাঠাইল মোরে তার সন্ধানের তরে ॥ বলিল কৌশলে ছলে যাহাতে পরিবে । অবিল-ক সম ইহা শ্রবণ করিয়া । শয়ন মন্দিরে গেল তীহারে লইয়া ॥ যুবতীর কাছে বসি থাকিল অাবল । অবশ্য ভাণ্ড (র দেখি ঘরেতে আসিবে ॥ একে একে নিদ্রা গেল কিঙ্কর সকল ॥ কিন্তু যদি না দেখিয়া আসিবে ফিরিয়া । নিশ্চয় কাটিব শির স্বহস্তে ধরিয়া ॥ অতএব আসিয়াছি না অসিলে নয় । পিতার কিকপ জ্ঞান দেখ মহাশয় ॥ মন প্রাণ রাজপুত্রে করেছি আপণ । জানি সার তার সঙ্গে হইবে মিলন ॥ যদিব। এৰূপ মন না থাকিত অাগে । তথাপি এমন কৰ্ম্মে বড় ঘৃণা লাগে ৷ তবে মাত্র আসিয়াছি জীবনের দায় । আসিতে এমন কৰ্ম্মে প্রাণ নাহি চায়” । শুনি যুবতীর বাণী বণিক নন্দন । তুষিয়া তাহারে কহে মধুর বচন। “বলিলে বৃত্তান্ত মোরে বড়ই মঙ্গল । করিব নিৰ্ব্বাণ তব দুঃখের অনল । থাকিবে সতীর ধৰ্ম্ম দেখিবে ভণ্ডার । যাবে না পিতার হস্তে জীবন তোমার ॥ করিব তোমাকে অামি যোগ্য সমাদর । নিৰ্ভয়ে থাকহ তুমি নাহি আর ডর। সত্য বটে হেরি তব ৰূপ মনোহর । চঞ্চল হইয়াছিল আমার অন্তর ॥ কিন্তু সে অশাতে অার নাহি প্রয়োজন । মনের মালিন্য তুমি ত্যজহ এখন । স্বচ্ছন্দে পতিকে গিয়া করিবে দশন । রাখিয়াছ সতী-ধৰ্ম্ম যাহার কারণ” ॥ অবিলের বাক্য শুনি মন্ত্রী-সুত কয় । সত্য হে তোমাকে সবে কহে দয়াময় ॥ সমস্ত নিদ্রিত দেখি বণিক তনয় । নয়ন বন্ধিয়া কহে করিয়া বিনয় ॥ বড় দুঃখ তব চক্ষু করিতে বন্ধন । কিকরি করিতে নারি প্রতিজ্ঞ লঙ্ঘন ॥ ইহা ভিন্ন অন্য পথ নাহি বরাননা । অতএব অপরাধ করিবে মার্জনা" ॥ রমণী আমনি বলে শুন মহাশয় । যাহা ইচ্ছা কর তুমি নাহি আর ভয় । তোমার সরলাচারে করিয়া প্রত্যয় । যথা বাঞ্ছা নিয়া যাও থাকিব নিৰ্ভয় ॥ তবে মাত্র মনে এই করি শঙ্কা বোধ । পাছে এগুণের ধীর নাহি হয় শোধ” ৷ অবিল তাহার কর ধরিয়া তখন । গোপন সোপান দিয়া করিল গমন ॥ উদ্যান ত্যজিয়া পরে প্রবেশি গহবরে । নয়ন হইতে তার বস্ত্র দুর করে। রাশি রাশি হীরা মুক্ত স্বর্ণ অার মণি বিচিত্র অন্তত দ্রব্য হেরিল রমণী ॥ হাৰূণ যে ধন হেরি চমৎকার প্রায় । বালুকিসী বিস্ময় হবে কি সন্দেহ তায় । যাহা দেখে তাহাই আশ্চর্য্য করি মানে স্থির-নেত্র হয় রাজা রাণী দরশনে ॥ স্বর্ণের লিখন ধনী পড়িল যখন । যেৰূপ হইল মন না যায় বর্ণন ॥ কপে তের ডিস্বাকার গজমুক্তণ হার । মহিষীর গলে ছিল দৃষ্টি হলো তার ॥