পাতা:পারস্য ইতিহাস.djvu/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যদ্যপি প্রেমিক হও, মম প্রেমে বনদী রও’ তবে পরে পাইবে অামাকে ॥ অাশা দিয়া দৈত্য-কন্যা করিল গমন । তেজ বিনা দীপ্তি হীন হইল ভবন ॥ অন্ধকারে মন্ত্রী সঙ্গে থাকে নৃপবর । প্রভাতে চমক লাগে দেখি প্রভাকর ॥ পুরীতে বসিয়া আছি স্থির ছিল মনে । কিন্তু দেখে বন মধ্যে বসি দুই জনে ॥ নরপতি মন্ত্রী প্রতি কহেন তখন । বুঝি মন্ত্রী এ সকল হইবে স্বপন ॥ মন্ত্রী কহে মহারাজ নিবেদন করি । “স্বপন কখন নহে মায়াময় পুরী ॥ কুহকিনী বোধ হয় হেরিয়াছি যারে। করিতে অসাধ্য কৰ্ম্ম অনীয় সে পারে । পরম রূপসী ৰূপ ধরি এই বনে । ছলিতে তোমারে বাঞ্ছা ছিল তার মনে ॥ দেখিলে যতেক সখী গান বাদ্য করে । সকলে তাহারা দৈত্য নারী বেশ ধরে” । এরূপে প্রবোধ বাক্য মন্ত্ৰী যত কয় । প্রেমে মত্ত নরপতি না করে প্রত্যয় ॥ ভুলিতে না পারে সেই রমণীর রূপ । অস্থির অন্তরে গৃহে আসিলেন ভূপ ৷ য়ে ভাবে জাগিছে হৃদে তাহীর অভাবে। সে ভাবে অভাব নাহি হইবে স্বভাবে ॥ প্রত্যহ বুঝায় মন্ত্রী বিবিধ বচনে । তথাপি প্রবোধ বোধ না হয় শ্রবণে ॥ যদিও কন্যার বাৰ্ত্ত শুনিতে না পায়। তথাপি তাহার ভাব ছাড়িতে না চায় ॥ স্থখtলাপ রঙ্গ রস সকল ত্যজিল । মৃগয়ার ছলে রাজা ভ্ৰমিতে লাগিল ॥ যেই স্থানে সেই মৃগী দেখিয়াছে আগে, সেই খানে পাবে পুনঃ সদা হৃদে জাগে। পারস্য ইতিহাস । এৰূপে দ্বাদশ মাস হইল অতীত । বৃথা প্রেম মায়াময় ভাবিল নিশ্চিত। অতঃপর নৃপবর পাইলেন ভয়। বুঝিয়া মায়ার কৰ্ম্ম হইল বিস্ময় ॥ প্রতিজ্ঞা করেন পরে করিব ভ্রমণ । বহু বিধ দ্রব্য হেরি স্মিন্ধ হবে মন ॥ এৰূপ চিন্তিয়ণ রাজা মন্ত্রীকে ডাকিয়ণ | শাসন করিতে রাজ্য দিলেন সঁপিয়া ॥ আরোহণ করি পরে মনোহর ঘোড়া । তাহার লাগাম জিন জহরেতে মোড়া ॥ রজি বস্ত্ৰ অলঙ্কার লইয়া কতেক । মণি চুণি হীরা মতি সহিত অনেক ॥ জঙ্ঘদেশে লম্বমান অসি দীর্ঘাকার । হীরকে মণ্ডিত কোষ মণিময় তার ॥ এই মত বাস ভুষ। পরিয়া রাজন। যামিনী যোগেতে একা করিল গমন ॥ একাকী যাইতে মন্ত্রী কত বাধা দিল । কিন্তু রাজা তার কথা কর্ণে না শুনিল । যাইতে টিবেট দেশে নরপতি ধায় । ক্রমেতে কতক পথ এড়াইয়া যায় ৷ পাওয়া যাবে রাজধানী দুই দিন পলে । হেনস্থানে থাকিলেন বিশ্রামের তরে ॥ নিকটে দেখেন এক পরম ৰূপসী । মেঘাচ্ছন্ন শশী যেন বৃক্ষতলে বসি । শিরে কর দিয়া ভাসে নয়নের নীরে । মুখ চন্দ্র ঢাকিয়াছে বিষাদ তিমিরে। অষ্টাদশ বর্মণ হবে যৌবন প্রথম । অল্পমান ঘটিয়াছে বিপদ বিষম ॥ পরিচ্ছদ ছিন্ন ভিন্ন মলিন সকল । স্বাভাবিক ৰূপে তবু করিছে উজ্জল ॥ হেরিয়া নারীর ভাব ভাবিছে ভূপতি । এনহে অভাগী কভু হবে ভগ্যবতী ॥ নিকটে যাইয়া তারে জিজ্ঞাসেন ভূপ কে তুমি মুন্দরী কেন হেথা এই ৰূপ ৷