পাতা:পারস্য ইতিহাস.djvu/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পারস্য ইতিহাস । নৃপতি কহিল ‘ভবে না বধিব আর । যথার্য যে পরিচয় বল দুরাচার ॥ কে তুই কি জন্য বল কিসের কারণ। কেমনে আমার ৰাপ করিলি ধারণ” ॥ যোড় করে নৃপবরে মায়াধর কয় ] “কৃপা করি যদি প্রাণ রাখ মহাশয় ॥ তবে প্রবঞ্চন আমি কিছু না করিব । সরল স্বভাবে সব যথার্থ কহিব ৷ বরঞ্চ তোমার সত্য বোধের কারণ । কহিতেছি নিজৰূপ করিয়া ধারণ” ॥ এতবলি অঙ্গুরীকা খুলিয়া তখনি । স্বাভাবিক বৃদ্ধ ৰূপ হইল আপনি ॥ ৰূপান্তর হেরি ভূপ অত্যন্ত বিস্ময় । এই দেহু স্বাভাবিক মায়াধর কয় ॥ যখন বৃত্তান্ত সব শুনিবে অামার । আরো চমৎকার বোধ হইবে তোমার

    • ডামাসে অামার বাস শুন পরিচয় । মকবেল নাম ধরি তাতির তনয় ॥ জনকের পুত্র কন্যা ছিল নাহি আর । পাইলাম সব ধন মৃত্যু হলে তার ॥ ছরদৃষ্টে সেই অর্থে ঘটিল অনর্থ। মনোভ্ৰমে হইলাম কুকৰ্ম্মে প্রবৃত্ত । যুবতী আছিল এক মম প্রতিবাসী । মজিলাম প্রেমে তার হয়ে অভিলাষী ॥ ৰূপেতে তাহার কাছে তুল্য কেবা হবে গুণের তুলনা দিতে নারী নাই ভবে ॥ কিন্তু সেই গুণে ছিল অগুণ সঞ্চিত। মুখেতে মধুর বাক্য অন্তরে বঞ্চিত ॥ মিথ্য অtলাপনে মন হরিত সবার । প্রশংসা করিত লোকে সম্মুখে তাহার ।

ছ 8 〕 কেমনি মধুর স্বরে করে আলাপন । ফেলিয়া প্রেমের ফাদে হরে সব ধন ॥ যেখন যাহাকে নিয়া থাকিত আপনি । জানাইত তারে যেন তাহারি রমণী ॥ আগে নাহি বুঝিলাম চাতুরী মন্ত্রণ। অবশেষে কৰ্ম্ম দোষে ঘটিল যন্ত্রণ ॥ কৌশলে কামিনী যত করে সমাদর । মনে করি আমি বুঝি বড় ভাগ্য-ধর ॥ এই ভাবে প্রেমে বশ ক্রমশঃ করিল। ফেলিয়া পিরিতি জালে সৰ্ব্বস্ব হরিল ॥ নিত্য নিত্য এত ভেট দেই আমি তারে চারি বর্ষ না যাইতে যাই ছারখারে। অামা ভিন্ন অন্য যত ছিল উপপতি । নজর বিস্তর দিত হতে প্রিয় অতি ॥ এৰূপ প্রেমের লেভি সবে দেখ ইয়া । অতুল ঐশ্বৰ্য্য ধন করে ফাকি দিয়ণ ॥ সতত আমার মনে ছিল এই ভয় । দরিদ্র দেখিয়া পাছে কথা নাহি কয় ॥ প্রেম পাশে মন বাধা বিচ্ছেদ না সবে । এইচিন্তা ছিল সদা শেষ কিসে রবে ॥ কিন্তু সে চতুরা নারী বুঝিয়া আকারে । নিজ মুখে এই কথা কহিল অামারে ॥ “নির্ধন বলিয়া প্রিয় চিন্তা কি তোমার । এ ভাব অভাব কভু হবে না অামার ॥ সব উপপতি হতে তুমিই রসিক । প্রেমেতেই ক্রমে দীন হয়েছ অধিক ৷ এহেতু কৃতজ্ঞা হওয়া আমার উচিত । স্বদ স্থদ্ধ সব দেওয়া যথার্থ বিহিত ৷ অধিকন্তু অন্য হতে পরে যাহ। নিব । - তাহাও তোমাকে আমি ইচ্ছামত দিব ॥ ফলতঃ দুঃখের কালে দিয়াছিল এত । প্রতুল হইল তাহে বিলক্ষণ মত ॥ ক্রমশঃ ভিন্নতা ভাব না রহিল অীর । সৰ্ব্বময় কৰ্ত্তী অামি হইলাম তণর ॥