পাতা:পারস্য ইতিহাস.djvu/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পারস্য ইতিহাস । বাক্য শুনি মহাশয় করি অনুভব ॥ দুর্দশার কথা মোয় শুনিয়াছ সব ॥ আপনার পরিচয় করাও বিদিত । হইব তাহাতে আমি অত্যন্ত বাধিত" ॥ চীনেশ্বর বলে “মোর নিবাস বিদেশে । ইহার বৃত্তান্ত পরে কহিব বিশেষে । দৈব যোগে দেখিলাম তোমার কামিনী। শুনিয়াছি তার মুখে সকল কাহিনী ॥ অদ্য প্রাতে যে ঘটনা শিবিরে হইল । অালী মন্ত্রী সব মোরে বিস্তারি কহিল ৷ আপনি চলুন শীঘ্ৰ যাই সেই স্থানে । রাণীকে লইয়া মন্ত্রী অাছেন যে খানে”। এসস্বাদ শুনি রাজা অানন্দে ভাসিল । মেঘ যেন চাতকের তৃষ্ণাতে আসিল । মায়াবীর অঙ্গুরীকা লইয়া কাড়িয়া। চলিলেন দুই জনে ঘোটকে চড়িয় ॥ অতি শীঘ্ৰ উপস্থিত রাণীর সদন । অশ্ব ত্যজি কামিনীরে করি আলিঙ্গন ॥ রাজ বলে “শশীমুখী সদয়৷ কি হবে । অপরাধ করিয়াছি প্রেম কিসে রবে ॥ এত যে যন্ত্রণা অামি দিয়াছি তোমায় । প্রতিকূল তাহে প্রিয়ে হওনা অামায়। মনে ছিল শাস্তি দির শক্রকে তোমার। হিতে বিপরীত শেষ ঘটিল অামার ॥ রাজার কথায় রাণী কহিল তখন । কি হইবে সে যন্ত্রণা করিলে স্মরণ ॥ কেবল ভ্ৰমেতে এত বিপত্তি অামার । কুহকিনী ভুলাইল কি দোষ তোমার ॥ রাজা বলে “দোষ কিসে না কহি তাহtয় গুণেতে উচিত ছিল চিনিতে তোমায়” । এই ৰূপে কহে রাজা নানা তর্ক বাণী । ইতিমধ্যে নৃপতিকে জিজ্যাসিল রাণী ॥ “যে নারী মহিষী হয়ে ছিল মীয়া বলে । তাহার কুহক নষ্ট হইল কি কলে । 《\s) নৃপ কহে আচম্বিত শয্যাগারে গিয়া । দেখিলাম রাণী অাছে উপপতি নিয় ॥ ক্রোঞ্চে অসি তুলিলাম বিনাশ করিতে । কিন্তু আগে মায়াধর পলায় ত্বরিতে ॥ তাহার পশ্চাৎগামী না হয়ে তখন । রহিলাম কুলটার বধিতে জীবন ॥ ভয়েতে সে ভ্রষ্ট নারী শয্যার উপর । কন্দিয়া কহিল প্রাণ রাখ নৃপবর ॥ দুষ্টার ক্ৰন্দনে কর্ণ না পাতিয়া আর । অঙ্গুরী সহিত হস্ত কাটিলাম তার ॥ কিঅtশ্চর্য্য তব ৰূপ না রহিল পরে । বিপরীত বৃদ্ধ হয়ে দাড়াইল ঘরে ॥ কহিল কুলটা মেরে না করিয়া লাজ । মায়ার প্রভাব সব গেল মহারাজ ৷ অঙ্গুরীর বলে আমি স্বরূপ ছাড়িয়া । ছিলাম মহিষী বেশে রাণীকে তড়িয়া ॥ যে পুরুষ পলাইল তব তুল্যাকার । লইতে তোমার রাজ্য বাঞ্ছা ছিল তার ॥ ইহার যে শাস্তি মোর হইয়াছে তাই । এখন রাখহ প্রাণ এই ভিক্ষা চাই ॥ শুনিয়া ভ্ৰষ্টার কথা দিলাম উত্তর । অার না রাখিব তোরে বধিব সত্ত্বর ৷ কেবল লাঞ্ছনা যদি হইত আমার । তাহাতে এখনি তুই প্রেতিস নিস্তার। কিন্তু মহিষীরে দুঃখ দিলি ছদ্ম বেশে । বিধু-মুখী মান মুখে গেল কোন দেশে ৷ তোর জন্য তারে অামি না হেরিব অtর ইহা বলি শিরশেছদ করিলাম তার”। মহিষীকে এইৰূপ বলিয়। রাজ ন । রজবন শাহ প্রতি কহিল তখন ॥ “শুনহে বিদেশি তুমি বড়ই স্বজন । পাইলাম প্রাণ ধন তোমার কারণ ॥ বল কিসে পরিতোষ করিব তোমার ! মিলনের মুলীভূত তুমি হে আমার ।