পাতা:পারস্য ইতিহাস.djvu/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

9 8 কিন্তু কাজী পরামশ না শুনিল তার । সেই দিন কেীলফেরে মারিল না অণর ॥ কাজী স্থানে পিতা পুত্র বিদায় হইয়ণ । কেীলফেরে নিজালয়ে চলিল লইয়ণ ॥ বেত্রাঘাতে কৌলফের কলেবর দহে । , ফাটিয়া সকল অঙ্গ রক্ত ধারণ বহে ॥ কিন্তু পত্নী সহ পুনঃ হবে দরশন । তাহা ভাবি সব জ্বালা হয় বিস্মরণ ॥ গৃহে আসি সদাগর কৌলফে লইয়ণ । বুঝাইল মিষ্ট বাক্যে বিস্তর কহিয়া ॥ অধিক অtশয় তারে সদাগর দিল । তিন শত মুদ্রাবধি স্বীকার করিল। এৰূপে যখন বৃদ্ধ বুঝায় তাহারে । টtহার আসিল নিজ পত্নীর আগারে ॥ রমণী দুঃখিনী হয়ে ভাবিছে তখন । আদালত হতে যুৱ আসিবে কখন ॥ মনে জানে কৌলফের সত্য প্রেম অাছে। কিন্তু ভাবে প্রতিজ্ঞা না থাকে ভয়ে পাছে৷ হেন কালে প্রথম স্বামীরে দেখে তথা । ভাবিল ইহার জয় নহেক অন্যথা ॥ অমনি শিহরি ধনী ভয়ে মুছল প্রায় । বিবর্ণ হইল বর্ণ শব তুল্য কায় ॥ রমণীর কপান্তর দেখিয়া টাহার । ভ্ৰমেতে হইল বশ অলীক আশীর ॥ ভাবিল সস্বাদ কেহ বলিয়াছে তায় । কোন মতে যুবা তারে ছাড়িতে না চায়। একারণ দেলেলার হইয়াছে ভয় । অতএব যুবতীকে প্রিয় বাক্যে কয় ॥ এৰূপ বিষাদ কেন করিছ সুন্দরী । এখন ত ডুবে নাই ভরসার তরি । বিয়া করে ছিলে কালি যেই দুরাচারে । সত্য সে তোমাকে নাহি চায় ছাড়িবারে। কিন্তু প্রিয়ে অাশা শুন্য না হইও আজি । বিস্তর যন্ত্রণ তারে দিয়াছেন কাজী ৷ পারস্য ইতিহাস । কালি যদি রক্ষণ নাহি করে অঙ্গীকার । তবে করা যাবে আরো কঠিন প্রহার ॥ হইবে ভুঞ্জিতে অদ্য নিশি তার সনে । করিবে কি বল অণর ভাবিয়া এক্ষণে ॥ আসিয়াছি দিতে এই শুভ সমীচীর । নিঃসন্দেহ পতি কালি পাইবে তোমার ॥ আজি সে রহিল প্রিয়ে পাবে কত দুঃখ । কি করিব ধৈর্য্য হও কালি হবে মুখ ॥ নারী কহে সত্য বটে তাহারি কারণ। এতেক যন্ত্রণ মোর জ নিবে এখন ॥ কত দিনে এই দুঃখে উত্তীর্ণ হইব । পূর্ণ হবে মনস্কাম স্বচ্ছন্দে রহিব ৷ বড় স্নেহ আমণ প্রতি কহিল টাহার। কালি পাবে নিজ পতি ভাবনা কি আর । টাহার তাহার পরে করিল গমন । অবিলম্বে দেখা দিল সাধুর নন্দন ॥ কেীলফে দশন করি দেলের রমণী । পুলকে পূর্ণিত অঙ্গ, কহিল অমনি ॥ এসে12 প্রাণ কান্ত হৃদয়ে আমার । কি দিব হে পুরস্কার পিরিতে তোমার ॥ ছিলন ৷ এমন মনে না ত্যজি আমায় । এৰূপ যন্ত্রণ। সখা সহিবে তাহায় ॥ শুনিয়াছি সবিশেষ সব বিবরণ । টাহার বলিল মোরে আসিয়া এখন ॥ তব প্রতিজ্ঞায় আমি যেমন সুখিনী । প্রহারেতে ততোধিক হয়েছি দুঃখিনী ৷ কল্য যে যন্ত্রণ অারো হইবে তোমার। ভাবিলে প্রাণেতে প্রাণ থাকেন আমার ॥ এতেক শুনিয়া কহে সাধুর নন্দন । কি সাধ্য প্রহারে কাটে প্রেমের বন্ধন ॥ বিধাতার লিপি যাহা অবশ্যই ফলে । কিন্তু কারো সাধ্যনাই অাগে তাহা বলে৷ যাবে কি থাকিবে প্রাণ তোমার কারণ। কেমন করিয়া তাহা কহিব এখন ॥