পাতা:পাল ও বর্জিনিয়া.pdf/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯২ পাল ও বর্জিনিয়া। নহে ” । এই সমস্ত কথা কহিয়া পাল তাহাকে কহিক “প্রিয়তমে ! এই দেখ তোমার জন্য আমি গহন বন হইতে এই কুমুমিত লেবুর শাখা ছেদন করিয়া আনিয়াছি । ইহার গন্ধে তৎপ্রদেশ সেীরভময় হইতেছিল, শীঘ্ৰ ইহা গ্রহণ করিয়া আমার শ্রম চরিতার্থ কর । আর এই দেখ শৈলশিখর হইতে তোমার জন্য অপূৰ্ব্ব কমলমধুর ছাক ভাঙ্গিয়া আনিয়াছি, ইহা হইতে মধুপান করিয়া তুমি আপনার পরিভ্রমণ-জনিত ক্লেশ দূর কর, সম্প্রতি আমি অত্যন্ত ক্লান্ত হইয়াছি, छूमि সৰ্ব্বাগ্রে একবার অামাকে সক্ষেহে আলিঙ্গন করিয়া পরিতৃপ্ত কর, অামার সকল প্রান্তি দূর হউক । ” পালের এতাদৃশ অমৃতময় স্নেহরসাভিষিক্ত মধুর মনোহর বাক্য শ্রবণ করিয়া অকপটস্থদয়া বর্জিনিয়া পালকে আলিঙ্গন করিয়া কহিল, ‘দাদা ! যাহা বলিতেছ সকলি সত্য, আমিও অনেকবার পরীক্ষা করিয়া দেখিয়াছি, তোমার বদন নিরীক্ষণ করিলে আমার হৃদয়ে যে প্রকার অপর্য্যাপ্ত আনন্দের উদয় হয় তাহ। পরিচয় দিবার নহে ৷ মাতারা অামাকে অত্যন্ত স্নেহ করিয়া থাকেন, ইহাতে র্তাহাদের প্রতি আমুর যে প্রকার ভাব জন্মে, তাহা পরিচয় দ্বারা ব্যক্ত করা কঠিন, কিন্তু যখন র্তাহারা তোমাকে আমার ভ্রাতা বলিয়া সম্বোধন করেন, তখন আমার সেই ভাৰ কোটিই গুণে বৃদ্ধি পাইয় এককালে উদ্বেল হইয়। উঠিতে থাকে। র্তাহারা আমাদের উভয়ের উপরি অপৰ্য্যাপ্ত স্নেহ প্রকাশ করিয়া থাকেন বটে, কিন্তু তোমার প্রতি তদ্রুপ করাতে আমার মনে যে প্রকার