পাতা:পাল ও বর্জিনিয়া.pdf/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাল ও বজিনিয়া। ;、N。 সন্তোষ জন্মে আমাকে স্নেহ করিলে কদাচ তেমন প্রীতি বোধ হয় না। ভাই! তুমি যে আমাকে বারবার কহিতেছ যে আমি তোমাকে যৎপরোনাস্তি डाज्ञवानि, এ কথা কোনরূপেই অযথার্থ বোধ হয়না, কারণ মানুষ পশু পক্ষী প্রভৃতি প্রাণিমাত্রেই বাল্যাবধি একত্রে সহবাস করিতে পাইলে তাহীদের পরস্পর সৌহার্দ্য অবশ্যই জন্মে, ইহা তাহাদের স্বভাবসিদ্ধ গুণ । দেখ দেখি তাই! আমাদের চতুর্দিকে যে সকল নানাজাতীয় বিহঙ্গম একত্রে পালিত ও সম্বৰ্দ্ধিত হইতেছে, তাহাদের পরস্পর প্রীতি আমাদের অপেক্ষ কত অধিক । আর এক কথা বলি শুন, যখন তুমি পৰ্ব্বতের উপরিভাগ হইতে বংশীধ্বনি কর, তৎকালে আমি নীচে থাকিযা কেবল গুহাগত প্রতিধ্বনিই শুনিতে পাই । শ্রবণমাত্র আমার মন প্রসন্ন ও শরীর পুলকিত এবং নয়নযুগল আনন্দবাম্পে পরি-পূর্ণ হইতে থাকে । ইহাতে আমিও তৎক্ষণাৎ মৃদুখ স্বরে তাহ অনুকরণ করিয়া থাকি । বিশেষতঃ ষে দিন আমি সেই কাফি দাসীর অপরাধ মাৰ্জ্জন করাইবার জন্য স্তুহার প্রস্তুর নিকট অনুরোপ করতে গিয়াছিলাম, ভদিবস তুমি আমার পক্ষ হইয় তাহার সহিত বাদানুবাদ করিতে ইচ্ছক হইয়াছিলে, তদবধি তোমার প্রতি ষে আমার কি পর্যন্ত প্রীতি জন্মিয়াছে তাহ। আমি ব্যক্ত করিতে সমর্থ নহি । তৎকালীন আমি তোমাকে শত সহস্র ধন্যবাদ দিয়া মনে হ কতবার কহিয়া ছিলাম ষে আমার দাদার মত সদন্তঃকরণ অন্য কাহারও নাই, ইনি আমাকে কতই স্নেহ