পাতা:পাল ও বর্জিনিয়া.pdf/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩ • পাল ও বর্জিনিয়া। প্রিয়পাত্র বলিয়া মনোনীত করিতে হয়, তাহা হইলে "তোমাভিন্ন অন্য কেহ কি মনোনীত হইতে পারে ? মি আমার যেমন প্রিয় তেমন আর ভূমণ্ডলে কাহ:কেও দেখিতে পাই না । হায় কি ক্লেশ ! তোমার সহিত অবিচ্ছেদে অবস্থিতি করিতে ন পারিয়া আমাকে বুঝি অতিশয় যাতনাই ভোগ করিতে হয় । এক্ষণে এক কৰ্ম্ম কর, যাহাদিগকে আমি প্রাণীপেক্ষায় ভাল বাসিয়া থাকি, জগদীশ্বরেচ্ছায় যাবৎ তাহাদিগের সহিত পুনৰ্ম্মিলিত ন হই, তাবৎ তাহাদিগের দুঃসহ বিরহষাতনা কি প্রকারে সহ করি, তাহার সদুপদেশ দিয়া অামার মন দৃঢ় করিতে চেষ্টা পাও । অামার যাওয়া, কিম্বা থাকা, মরণ, কিম্ব বাচন, সকলই আমার বন্ধুগণের ইচ্ছায়ভ, আমার ইচ্ছানুসারে কিছুই হইতে পারে না । আহ ! আমার কি দুর্ভাগ্য! আমি বুঝি তোমার শোক সম্বরণ করিতে পারিব না ’ । ৰর্জিনিয়ার প্রমুখাৎ এই সকল কথা শ্রবণ করিয়৷ পাল বাহুলভাদ্বয়ে তাহাকে প্রেমালিঙ্গন করত অতি দৃঢ় বাক্যে কহিতে লাগিল “ ভগিনি ! আমি তোমাকে বিদায় দিয়া কখন একাকী থাকিতে পারিব না, তুমি যেখানে ২ গমন করিবে সেই খানেই আমি তোমার সহিত যাইৰ ” । এইরূপে তাহীদের কথা বাৰ্ত্ত হইতেছে এমত সময়ে সহসা আমরা সকলেই তাহীদের নিকট উপস্থিত হইলাম । তখন অগ্রে বিৰি দিলাতুর পালকে সম্বোধন • করিয়া করিলেন “ বৎস পাল! যদি তুমিও আমাদিগকে পরিত্যাগ করিয়া বাইতে চাহ, তাহা হইলে