পাতা:পাল ও বর্জিনিয়া.pdf/১৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> 8 R পাল ও বঞ্জিনিয়া । পারি ” । এই কথা কহিয়। সে আমার নিকট আগ্রে ভূগোলবিদ। শিখিবার অভিপ্রায় জানাইল । তাহার মনের কথা এই যে সে এই বিদ্যার অবলম্বনে, বর্জিনিয়া পৃথিবীর কোন অংশের কোন স্থানে গমন করিয়াছে তাহার বিষয় বিলক্ষণরূপে অনুভব করিতে সমর্থ হইবে । তদনন্তর নানাদেশfয়দিগের ইতিহাস পাঠে তাহার অভিরুচি জন্মে । কারণ সে মনেই স্থির করিয়াছিল, ইহা দ্বারা, যে দেশীয় লোকদিগের সহিত বজিনিয়া বাস করিবে, তাহীদের রীতি নীতি ব্যবহার চরিত্র প্রভৃতি কি প্রকার, তাহ অবগত হওয়া দুর্ঘট হইবেক না । এইরূপে পাল প্রণয়ের পরবশ হুইয়া, পূৰ্ব্বে ক্লষিকাৰ্য্য সম্পাদনে যত যত্ব করিত তদপেক্ষা অধিকতর প্রযত্ব সহকারে বিদ্যাভ্যাসে মনোনিবেশ করিল । মনুষ্যজাতির প্রীতিকে কদাচ হেয় জ্ঞান কর। কৰ্ত্তব্য নহে । প্রীতি হইতেই আমরা বৈষয়িক জ্ঞান ও তত্ত্বজ্ঞানের রসাস্বাদ ন করিতে সমর্থ হই । দেখ, কেহ কাহারে। প্রীতিপাশে বদ্ধ হইলে সে তাহ সফল করিবার জন্য নানা উপায় অবলম্বন করিয়া থাঙ্কে । কেহ শিপবিদ্যা, কেহ পদার্থবিদ। প্রভূতিদ্বার। তৎসাধনোপযোগি অর্থে পাজনে প্রবৃত্ত হয় । যদি কেহ প্রীতি করিতে গিয় নিরাশ হয় তবে সে মনের সান্তনার জন্য দর্শনশাস্ত্র ও বিজ্ঞানশাস্ত্রের পর্য্যালোচনায় তৎপর হয় । সুতরাং প্রীতিই আমাদের এ সকল জ্ঞানের কারণ এবং পরস্পরকে সম্বদ্ধ করিৰার শৃঙ্খলস্বরূপ হইয়াছে । ভূগোলৱত্তান্ত ও ইতিহাস গ্রন্থ পাঠের অপেক্ষা উপখ্যান ও অাখ্যায়িকাদির পাঠ বরং পালের ভাল