$ 88 পাল ও বর্জিনিয়া । অপরিচিত উদাসীন ব্যক্তির প্রমুখাৎ শুনিয়াছিলেন যে তাহার তনয় নির্বিঘ্নে ফুন্সিদেশে উত্তীর্ণ হইয়াছে এই মাত্র । কিছুদিন পরে তাহার এক পত্র ৰিবি দিলাতুরের হস্তগত হয়। ঐ লিপিখানি ভারতৰর্ষের চলিত জাহাজে প্রেরিত হইয়াছিল । যাইবার সময়ে একবার সেই জাহাজখানা লুইস বন্দরে লাগাইয়া সেই পত্ৰখানি দিয়া যায়। পত্র মধ্যে অমুখের কথা উল্লেখ করিলে পাছে জননীর মনে কোন ক্ষোভ বা ক্লেশ জন্মে এই ভয়ে, সেই মুচতুরা বজিনিয়া অতি সাবধানপুৰ্ব্বক স্বাতিপ্রায় সকল ব্যক্ত করিয়া লিখিয়াছিল, কিন্তু তাহ পাঠ করিবামাত্র অনায়াসেই বোধগম্য হইল যে তাহাকে তথtয় যৎপরোনাস্তি ক্লেশ সহিতে হইতেছে, সে কেবল ভয়প্রযুক্তই এই পত্রে তাহ ব্যক্ত করিয়া লিখিতে পারে নাই । তাহার পত্রের পাঠ ও মৰ্ম্ম আমার হৃদয়ে অদ্যাপি জাগরুক রহিয়াছে, তাহার ৰিন্থ বিসর্গও আমি বিস্মৃত হই নাই । অৰিকল কহিতেছি শ্রবণ কর । “ সস্তুতি বৎসলে মাতঃ ! “ আমি তোমাকে কয়েকখান পত্র লিখিয়াছিলাম, কিন্তু তাহার কোন উত্তরই পাই নাই, বোধ হইতেছে সে সকল তোমার নিকট না পহুছিয়া থাকিৰেক । এক্ষণে যে উপায়াবলম্বনে এই পত্ৰখানি পাঠাইলাম, অনুমান ৰুরি, ইহা নির্বিঘ্নে তোমার হস্তগত হইবেক । এইবার অবধি আমাদিগের পরস্পর সমাচার প্রেরণ করা ও প্রাপ্ত হওয়ার কোন অসম্ভাবনা হইৰেক এমন ৰোধ হয় না । குே অর্ণবপোত আরোহণ করিয়া
পাতা:পাল ও বর্জিনিয়া.pdf/১৫৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
