পাতা:পাল ও বর্জিনিয়া.pdf/১৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> ?b〜 পাল ও বর্জিনিয়া। পৰ্ব্বতীয় নিবfর প্রবাহিত হইতেছে, তাহাতে আমার অনায়াসে দিন যাত্রা নিৰ্ব্বাহ হইতে পারে । আমি এখন অহরহ কয়েকখানি পুস্তক পাঠ করিতে মনোনীত করিয়াছি । তাহাতে আমার নিত্য২ মুখসম্ভোগের আরো সমৃদ্ধি হইতেছে। বস্তুতঃ ঐ সকল গ্রন্থের মৰ্ম্মবোধে আমি পুৰ্ব্বাপেক্ষায় এখন অধিক জ্ঞানীও হইয়াছি । একেত তদবলম্বনে আমার সহজেই কালাতিপাত হয়, দ্বিতীয়তঃ যে সকল দুর্দান্ত ইন্দ্রিয়ের প্রভাৰে মনুষ্যগণকে কুপথের পথিক করিয়া দুঃখসাগরে নিমগ্ন করে, তৎসমুদায়ের গুণাগুণ অামার মনে বিশিষ্টরূপে উদ্ভাবিত হইয়াছে । অপরাপর সকল ব্যক্তির অবস্থার সহিত আমার নিজাবস্থার তুলনা করিলে মনে ২ বোধ হয় যে আমি তাহাদের অপেক্ষা সৰ্ব্বতোভাবেই মুখী । এ বিষয়ে একটা সামান্যরূপ দৃষ্টান্ত দিতেছি প্রণিধান কর । যেমন “ বানিচালি হওয়া জাহাজের কোন ব্যক্তি জলমগ্ন শৈলের আশ্রয় পাইয়। তদুপরিভাগ হইতে ধৈর্য্যপূৰ্ব্বক চতুৰ্দ্দৰ অৰলোকন করে," তেমনি আমি এই নিরালয় নিস্তৃত স্থানে বাস করত অতি দূরবর্তি চতুৰ্দ্দিকস্থ প্রজাবহুল দেশে সতত উৎপাদ্যমান প্রবল ঝটিকাস্বরূপ উৎপাত সৰুল স্থিরচিত্তে অবলোকন করিতেছি । এখন তাদৃশ ঝটিকার শব্দে কেবল আমার মনে শাস্তিরই नयूबाँड/ বিধান করিতেছে, ক্লেশমাত্রও অনুভূত হয় না । যদিচ অামার এতাদৃশ মতের সহিত অন্য কাহারে • মতের ঐক্য হয় না বটে, সত্য কথা ; তথাপি আমি সেই সকল ব্যক্তিকে ঘৃণা না করিয়া বরং নিরস্তর অনু