পাতা:পাল ও বর্জিনিয়া.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাল ও বর্জিনিয়া । $ $ রাং স্বজাতীয় অধম ব্যবসায়ে থাকিলেও র্তাহার সুখসচ্ছন্দে কালহরণ হইতে পারিত; কিন্তু তিনি আপন দোষেই সে সকল সুখ হইতে বঞ্চিত হন, তাহার প্রতিবাসী এক অভদ্রাচার ভদ্রসস্তান তাহাকে বিবাহ করিবার অংশ দিয়া কতক দিন ভঁাহার সহবাসী হন। অবশেষে আপন প্রতিজ্ঞ পরিপূর্ণ না করিয়াই পাকে প্রকারে তাহাকে পরিত্যাগ করেন । মার গ্রেট নিজে অতি ভদ্র ছিলেন, কি করেন; নিরুপায় হইয়। সেই নিষ্ঠুর ব্যলীকের নিকট সবিনয়ে প্রার্থনা করিয়া কহিলেন “ যদি আমার প্রতি একান্ত নির্দয় হওয়া তোমার উচিত হয়, হও, কিন্তু এখন আমি অন্তঃসত্ত্বা হইয়াছি, সন্তান হইলে, যাহাতে তাহাকে প্রতিপালন করিতে পারি, এমন কিছু জীবিকা নিরূপণ করিয়া দাও ” এইরূপ কাকুক্তিতেও সে দুরাচারের কৰ্ণপাত হইল না । তখন মার গ্রেটি নিতান্ত হতাশ হইয়া পড়িলেন এবং দিনে ২ লজ্জায় অভিভূত হইতে লাগিলেন । কি বলিয়া আত্মীয় স্বজনের নিকট মুখ দেখাইবেন তাহা ভাবিয়াই স্থির করিতে পারিলেন ন। অবশেষে মনে ২ এই যুক্তি স্থির করিলেন “আমার এই পরিজনমণ্ডলীর মধ্যে অবস্থিতি করিয়া মুখ দেখুন আর ভাল দেখায় না । অতএব কোন নিরালয়ে গিয়া থাকিলেই, আমার এ দোষ ঢাকিতে পারিবেক । আমি অতি দুঃখিনী ক্লষকের কন্যা বটি, কিন্তু পুরুষানুক্রমে আমার পিতৃবংশে কোন কলঙ্ক নাই; আমিও সেই পবিত্র মানধনের অধিকারিণী হইয়াছিলাম, সম্পতি আপন দোষে সেই ধন হারাইয়া বসিয়াছি।