পাতা:পাল ও বর্জিনিয়া.pdf/২২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাল ও বর্জিনিয়া । * > 。 আমার মনের ভাব অন্যে কি জানিবে, অপ্তঘামী পরমেশ্বরই সমস্ত জানিতেছেন । এক্ষণে এক পরামর্শ বলি শুন, তুমি একবার ফান্সে যাত্র কর, তথায় অমি তোমাকে সৈন্যদলে নিযুক্ত করিব । তোমার অনুপস্থিতি কালে অামি স্বয়ং তোমার মাতাদিগকে তত্ত্ববধান করিব, তদ্বিষয়ে তুমি উদ্বিগ্ন হইও না ’৮। এই কথা বলিয়া তিনি তখন স্বহস্তে পালের হস্ত ধারণ করিলেন, কিন্তু সে তখন এমনি শোকাকুল, যে ভঁাহার কথায় কোন উত্তর দিতে পারিল না ; বরং উtহার দিক হইতে আপনার মুখ ফিরাইয়া লইল । আমি তখন অtহার নিদ্রা বজিত হইয়। কেবল সেই শোকসাগর মগ্ন মুহ্যদ্বর্গকে সান্তন করত দিৰানিশি কাটাইতে লাগিলাম । আপনার যেমন ক্ষমতা তেমনিই তাহাদিগের প্রতি সাহায্য করিতে ক্রটি করিতাম না; সপ্তাহের পর পালের আপাততঃ কিঞ্চিৎ চলচ্ছক্তি হইল, তৎপশ্চাৎ প্রতিদিন কিঞ্চিৎ২ সমর্থ্য ব্লদ্ধিও হইতে লাগিল, কিন্তু শোকবৃদ্ধির পক্ষেও তদনুরূপ বুদ্ধি হইতে ব্যাঘাত হইল না। চতুর্দিকস্থ বিষয়ের প্রতি পালের কিছুমাত্র অনুধাৰনই হইত না । চাহিয়া থাকিত তথাপি দেখিতে পাইত না । ডাকিলে কিম্বা কিছু জিজ্ঞাসিলে উত্তর পাইবার বিষয় ছিল না। তৎকালে বিৰি দিলাতুর মরণাপন্ন হইয়াছিলেন, তথাপি পালকে সৰ্ব্বদ।. বলিতেন “বাঙ্গ পাল ! তোমাকে দেখিলে আমার মনে হয়, যেন আমি বর্জিনিয়াকেও তোমার সঙ্গেই দেখিতেছি”। এইরূপে বর্জিনিয়ার নাম কর্ণকুহরে প্রবিষ্ট হইবামাত্র পাল