পাতা:পাল ও বর্জিনিয়া.pdf/২২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাল ও বর্জিনিয়া । * > ? প্রতি মাজন করাইবার জন্য বজিনিয়ার সঙ্গে যে২ পথ দিয়া গিয়াছিল, এখন সেই সকল পথ অবলোকন পুৰ্ব্বক বিশেষ হ চিহ্লে চিহ্ণিত করিতে লাগিল । বজিনিয়া পথশ্রান্তিতে নিতান্ত ক্লান্ত হইয়া ত্রিশিরা পৰ্ব্বতীয় নদীর কুলে বসিয়া বিশ্রাম করিয়াছিল ; সেখানকার এক গাছতলে বসিয়া বর্জিনিয়া যে সকল ফল ও ফুলের গাছ রোপণ করিয়াছিল তত্তাবৎ দর্শন পূৰ্ব্বক পাল মনেই করিল এই ২ স্থানে বর্জিনিয়া গান করিত ও অামি তাহার সঙ্গে খেলা করিতাম । এই সকলই আমাদের বিনোদ স্থান । এইরূপে ক্ষিপ্তের ন্যায় বনেই ভ্ৰমণ করত ক্রমে ২ পালের চক্ষুঃ দুটি বসিয়া কোটর-প্রবিষ্ট হইল, এবং সৰ্ব্বাঙ্গ হরিদ্রাবর্ণ হইয়। উঠিল । আমি তখন ভাবিয়া দেখিলাম যে পুৰ্ব্বতন মুখস চ্ছন্দের বিষয় স্মরণ হওযাতেই কেবল আমাদের যাতন। সকল ব্লদ্ধি পাইতেছে, এবং নিরালয় স্থান অবলম্বন করাতেই শোক সন্তাপ প্রভূতি মনের নিরুষ্ট ৰুক্তি সকল ক্রমশঃ সবল হইয়। উঠিতেছে । অতএব এসময়ে এসকল স্থান দেখাইলে কেবল আমার অমুর্থী মুহৃদের অমুখ বৃদ্ধি করা হইবেক । অতএব এক্ষণে ইহাকে এস্থান হইতে লইয়া স্থানান্তরে যাওয়া কৰ্ত্তব্য । মনেই এই বিবেচন। স্থির করিয়া আমি তাহাকে বহুজন বাসস্থান উইলিয়ম নামক পৰ্ব্বভালির নিকটে লইয়া চলিলাম। পাল জন্মাবচ্ছিন্নে সেস্থান কখন নয়নগোচর করে নাই । সেখানে চাসবাস ও বাণিজ্য-ব্যাপারের ধুমধামের সীমাপরিশেষ ছিল না । কোথাও কামার মিস্ত্রীর