পাতা:পাল ও বর্জিনিয়া.pdf/২২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ই ১৬ পাল ও বর্জিনিয়া। বনমধ্যে প্রবেশ করিয়া বড়হ গাছ কাটিয়া ফেলিতেছে। কতক লোক সেই সকল গাছ করাত করিয়া তক্ত প্রস্তুত করিতেছে । শকট সকল এদিকে ওদিকে অনবরত যাতায়াত করিতেছে । নিকটবৰ্ত্তী বিস্তারিত প্রান্তর মধ্যে গরু, বাছুর, ছাগ, মেষ, মহিষ প্রভূতি পশু সঙ্কল চরিয়া বেড়াইতেছে । ইতস্ততঃ অসঙ্খা প্রজাবৰ্গ বাস করিয়া রহিয়াছে । তথাকার কোনই স্থানের ফল-জননী শক্তি এত অধিক যে, ইউরোপীয় নানা প্রকার ফলের গাছ তথায় রোপণ করিয়া অক্লেশেষ্ট ফলকর করিয়া তুলিয়াছে তথাকার সশ্যক্ষেত্রেরই বা কত শোভা ! গন্ধবহের মন্দ ২ সঞ্চারে ক্ষেত্রে ৎপন্ন বিবিধ প্রকার সশ্য সকল আন্দোলিত হইয়। দশকের মনে যৎপরে নাস্তি আনন্দ উৎপাদন করিত । অামি ঐ সকল স্থানে পালকে লই যা গেলাম, এবং সৰ্ব্বদা তাঙ্কাকে নান কৰ্ম্মে ব্যাপৃত রাখিতে লাগিলাম। কি ব্লষ্টি, কি রৌদ্র, কি দিলা, কি রাত্রি কিছুতেই ক্ষান্ত ন হইয়া, ক্রমাগতই তা চার সঙ্গে ২ ফিরিতে লাগিলাম । তখন মনে হ ভাবিয়া ছিলাম বটে যে, রীরিক পরিশ্রম ও ভূতন ২ পথ দৰ্শন করিলে, এবং মধ্যেহ কোন পথ তারাই ? তাহাব অন্বেষণ করিতে প্রবুহু হটলে, পালের মন অন্য বিষযে বিক্ষিপ্ত হইবেক, এবং তাহাতে তাহার মন হইতে তাদৃশ শোকাৰেগ দূরীভূত হইতে পারিৰেক; কিন্তু সে সকলি ৰিফল হুইল। কারণ, যাহার। অকপট প্রণয়ী হইয়। তৎমুখে বঞ্চিত হয় তাহাদের মনে প্রণয়ের প্রসঙ্গ উত্থিত হই