পাতা:পাল ও বর্জিনিয়া.pdf/২২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

マンbr পাল ও বর্জিনিয়া । সেই ছবিখনি তাহার হস্তে প্রদান করিলাম । পুৰ্ব্বে পাল পৰ্ব্বতের নীচে নারিকেল গাছ তলায় ঐ ছবিখনিই ৰজিনিয়াকে দিয়াছিল । ছবিখানির প্রতি দৃষ্টিপাত করিনামাত্র পালের মুখখানি এককালে মহানন্দে বিকসিত হইয়া উঠিল । ইহাতে সে প্রথমতঃ অতিশয় যত্বপূৰ্ব্বক তাহ ধারণ করিয়া বারম্বার চুম্বন করিতে লাগিল । ঐ সময়ে বিলক্ষণ অনুভব করিয়া দেখিলাম যে তাহার হৃৎ কম্প উপস্থিত, এবং নয়নদ্বয় অ শ্রু জলে পরিপূর্ণ হইয়াছে, কিন্তু এক বিন্দুও পতিত হইতেছে না । ইহাতে আমি তাহাকে এই বলিয়া বুঝাইতে লাগিলাম “ভাল, প্রিয়বৎস! একটা কথা বলি শ্রবণ কর । পূৰ্ব্বে আমি তোমার যে প্রকার অকপট বন্ধু ছিলাম এখনও তদ্রুপ আছি । নহিলে তোমাকে এত আগ্রহপূৰ্ব্বক শোক দ্বারা শরীর ক্ষয় করিতে নিষেধ করি - তাম ন! } “তুমি অতি দুর্ভাগ্যবান এই জন্য এত শোক হইয়াছে । দুর্ভাগ্য ন হইলে তুমি তাদৃশ সাধুশীল বালাকে একেবারে হারাইতে না । আহা ! ৰজিনিয়া ত সামান্য মেয়ে ছিল না, বাচিয়া থাকিলে সে এক অসামান্য গুণবতী হইয়া উঠিত সন্দেহ নাই । বলিতে গেলে তোমার জন্যই তাহার আপন মুখে জলাঞ্জলি দেওয়া হইয়াছে। কারণ, ধনৰানকে পতিত্ত্বে বরপ করিলে তাহার মুখের ইয়ত্তা থাকিত না ; কিন্তু সে কিছুতেও রত না হইয়া কেবল তোমার ধ্যানেতেই কালযাপন করিয়া গিয়াছে । এই সকল তাহার