পাতা:পাল ও বর্জিনিয়া.pdf/২৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাল ও বর্জিনিয়া। २२ s গেলেই এতাদৃশ মুদুস্তর বিপজ্জালে জড়িত হইতে হয় ; কিন্তু তুমি যে তেমন গুণের সহচরীকে হারাইয়৷ বসিয়াছ, সে তোমার দোষে নয় । আর তোমার লোভ বা অহঙ্কার দ্বারা যে সেই বিপদ ঘটিয়াছে, তাহাও বলিতে পারি না, কিন্তু যিনি সকলের প্রবৃত্তি প্ৰবৰ্ত্তক, তিনিই ইহা ঘটাইয়াছেন স্বীকার করিতে হইবেক । পরমেশ্বর অাদেী অামাদিগকে সমস্ত বস্তু দেন এবং উপযুক্ত সময় হইলেই তত্তাবৎ পুনৰ্ব্বার গ্রহণ কবেন। ইহাতে তুমি এ কথা বলিতে পার যে, আমি ঐশ্বর্ঘ্যের জন্য ত শোক করিতেছি না, কেবল মরণ হয় না কেন বলিয়াই শোক করিতেছি । কেননা জীবদ্দশায় যে সকল চিন্তা জাজ্বল্যমান রহিয়াছে, মরণ হইলেই সে সমস্ত এককালে ফরাইয়। যাইবেক । অথবা আমাদের মন হইতে সাংসারিক মুখ সকল লুপ্ত হইবার সময়েই আমাদের জীবনাকাশ মৃত্যু-মেঘে আচ্ছন্ন হইবেক। ফলে মৃত্যু হইলে আমাদের মন হইতে সমস্ত মুখ দুঃখ দূরীভূত হয় এবং মৃত্যুশয্যায় শয়ন করিলে ক্লেশেরও লেশ থাকে না । ঐহিক মুখের বিষয়ে সকলে যাহাকে সুখী বলেন সেই মুখী, নহিলে কে প্রকৃত মুখী ইহা বলা অতি দুঃসাধ্য। যে সময়ে বুজিনিয়া, জাহাজ হইতে এই কুলের উপরি দৃষ্টিপাত করিয়া তোমাকে তাহার রক্ষার্থ প্রাণপণে যত্ব করিতে দেখিল, সেই সময়ে সে, আমাদের তাহার উপরি কি পৰ্য্যন্ত স্নেহ ছিল তাহ বিলক্ষণরূপে বুঝিতে পারিয়াছিল । বর্জিনিয়া জীবদ্দশায় কোন অংশে