পাল ও বর্জিনিয়া २ २ १ রেকে কোন ব্যাপারই ঘুটনা হয় না, কিন্তু স্বপ্নের ফল কখনই সত্য হইতেও দেখা গিয়াছে ’ । যাহা হউক, সেই সখীদিগের তাদৃশ স্বপ্ন সিদ্ধ হইতে আর অধিক কাল বিলম্ব হইল না । বর্জিনিয়ার মরণের পর পাল ক্রমাগত দুইমাস কাল দিবারাত্রি তাহার কথা আলাপ করিয়া সংসারলীলা সম্বরণ করিল। মার গ্রেট তন্মরণের সপ্তাহান্তেই কলেবর পরির্ভ্যাগ করিলেন । র্তাহার মরিবার অব্যবহিত পুৰ্ব্বে বিৰি দিলাতুরের সন্নিধানে এই বলিয়া বিদায় হইলেন “প্রিয়সখি ! আমি ত এখন তোমাকে রাখিয়া অগ্রে চলিলাম, কিন্তু তুমি এই ক্ষণিক বিচ্ছেদে কাতর হইও না, অচিরাং আমাদের সেখানে পুনর্মিলন হইবেক । সেই মিলনই মিলন, তাত। কখনই ভঙ্গ হইবার নহে । মরণ আমাদের শান্তিলাভের পথ, মরণ হইলেই আমরা সকল জ্বালার হাত হইতে পরিত্রাণ পাই’ । মীর - গ্রেটের মৃত্যু হইলে গবর্ণর, মেরী ও দমিঙ্গের রক্ষণধে ক্ষণের ভার লইলেন । আহ ! তাহার। তখন জরায় জীর্ণ ও শোকে শীর্ণ হইয়। কৰ্ম্মকাৰ্য্য করিতে নিতান্তই অক্ষম হইয়াছিল । যাহা হউক তাহাদিগকে তাদৃশ অধীনতাবস্থায় আর অধিক কাল বাচিয়া থাকিতে হয় নাই । বাঘ বলিয়। পালের যে কুকুরট। ছিল, সেও প্রভূবিরহে দিন দুয়ের মধ্যে ক্ষীণ হইয়া দেহ ত্যাগ করিল । 蠱 অবশেষে অার কেহই অভিভাবক রহিল না দেখিয়া আমি বিৰি দিলাতুরকে লইয়া আপনার কুটারে গমুন করিলাম । পুৰ্ব্বে সৰ্ব্বদা পালকে ও তাহার মাতাকে
পাতা:পাল ও বর্জিনিয়া.pdf/২৩৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
