পাতা:পাল ও বর্জিনিয়া.pdf/৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাল ও বর্জিনিয়া । * > চোখ দুটি আকর্ণ দীর্ঘ অথচ সুচারুরূপ সতেজ ক্লষ্ণবর্ণ। দেখিবামাত্র একটা প্রকাগু বীর পুরুষের মত বোধ ন হইয়া যাইত না । সেই চক্ষুর পক্ষগুলি যদি বড়হ না হইত, তাহ হইলে তাহার যাদৃশ সতেজভাব ছিল, তাহাতে আরো ককশ ৰোধ হইত ; সুতরাং সে চাহিবামাত্র অন্য কোন ব্যক্তির ভীত না হইবার বিষয় থাকিত না । কিন্তু সেই লম্বাই পক্ষদ্বারা তাহার নয়ন ছুটি এমনি মানাইয়াছিল, যে তাহার শোভা ও মুকুমারতার ৰিষয় বর্ণনা করিয়া উঠা ভার । পালের এক অসাধারণ স্বভাৰ এই ছিল, যে সে কাজ কৰ্ম্ম ছাড়া কখনই কোন সময় অনৰ্থক নষ্ট করিত না । সে কোন কার্য্যে ব্যস্ত আছে, অথবা কোন আমোদ প্রমোদ করিতেছে, এমত সময়ে যদি বর্জিনিয়া তাহার নিকট আসিত, তাহা হইলে সে তখনি অমনি সে সকল কাজ কৰ্ম্ম ফেলিয় তাহার সহিত একত্র উপবিষ্ট হইত। কখন বা তাহারা দুই জনে কথাবাৰ্ত্তা না করিয়া কিছু আহারাদি করিতে থাকিত । সে সময়ে তাহাদিগকে দেখিতেই এক অপরূপ । তাহাদের শাদাহ পায়, মোজা ও জুতা কিছুই থাকিত না । তাহারা সেইপ্রকার সহজ-সুন্দর ভঙ্গিতে উপবেশন করিত । যদি তাহাদের প্রতি অকস্মাৎ কাহারে। দৃষ্টিপাত হইত, তাহ হইলে তাহার মনে শাদা পাতরের প্রতিমূৰ্ত্তি বলিয়া প্রতীতি না হইয়া যাইত না ; কিন্তু তাহদের সে চন্দ্ৰবদনে যখন ভ্রাত্বভগিনীর স্নেহময় হাস্য প্রকাশ পাইত, এবং সেই উভয়ের চারি চক্ষু এক ত্ৰ মিলিত হইত, তখন তাহাদিগকে দেখিলে