পাতা:পাল ও বর্জিনিয়া.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩ 8 পাল ও বর্জিনিয়া । এই কথা মনে২ বিবেচনা করিয়া বিবি দিলাতুর অমনি সত্বরে বন্দরলুইতে গমন করিলেন। তখন তিনি হর্ষে এমনি জড়প্রায় হইয়াছিলেন যে গবর্ণরের কাছে যাইতে গেলে পরিচ্ছন্ন হইয়; যাওয়া উচিত্ত কি ন! সে বিষয়ে আর কিছুমাত্র অনুধাবনই করিলেন না । সন্তানের কুশলের জন্য মাতার আকাঙ্ক্ষ যত দূর পর্য্যন্ত বাড়িতে পারে তাহার হু্যনত না হওয়াতে তিনি তাহাতে মুগ্ধপ্রায় হইয়াছিলেন । এবং হয়ত তিনি ঐ গবর্ণরকে পুরুষ জ্ঞানই করেন নাই । বিবি দিলাতুর পত্রের জন্য গবর্ণরের কাছে গমন করিলেন বটে, কিন্তু সে পত্র তাহার অতীষ্টসিদ্ধির উপযুক্ত ছিল না । তিনি মনে ২ যে সমস্ত আশা করিয়াছিলেন সেই পত্ৰখানি তাহার নিতান্ত বিপরীত । বৃদ্ধ ভ্ৰাতৃকন্যাকে এই বলিয়া পত্র লিখিয়াছিলেন যে “আমি তখনি বুঝিতে পারিয়াছিলাম, তুই দুৰ্দশ রাখিতে আর স্থান পাইবি না । তোর তখন আত্মীয় স্বজনের কথায় কাণ দিতে মন যায় নাই, তাহার সমুচিত ফল এখন বসিয়া ভোগ কর । আমরা তোর ভাল করিয়া বেড়াইতাম, আমাদের কথা তোর ভাল বোধ হয় নাই । তোর কেবল মতিচ্ছন্ন বৈত নয় । নহিলে তুই আপন ইচ্ছায় একজন ঘোর লম্পট ও বৰ্ব্বর পর্য্যটকের হস্তে বা পড়িবি কেন ? যে জন এত দুর পর্য্যন্ত রিপুর পরবশ হইয়া স্বেচ্ছাচারী হয়, তাহার এ সকল দুৰ্গতি ও শাস্তি হওয়া বিচিত্র ব্যাপার নহে । যার যেমন কৰ্ম্ম তার ভেমনি ফল ভোগ করিতে হয়, এ কথা কি তুই কখন কাণে শুনিস নাই। তুই তখন