পাতা:পাল ও বর্জিনিয়া.pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 z পাল ও বজিনিয়া। তেছে “ম সকল কাদিতেছ কেন ? কেহ জিজ্ঞাসিতেছে “গৃহিণী ঠাকুরাণীরা রোদন করিতেছ কেন ? কেহ নিষেধ করিতেছে “হে মা ! অার কাদিও না ক্ষান্ত হও ” এই সকল কথা বলিতেই তাহারা সপরিবারে একেবারে উচ্চস্বরে রোদন করিতে আরম্ভ করিল। বিবি দিলাতুর সাক্ষাতে সেই প্রকার অকপট প্রণয়ের চিহ্ল সকল দেখিয়া রোদন হইতে ক্ষান্ত হইলেন, এবং “ এস ২ বাবা এস, এস ২ মা এস ’ বলিয়া পাল ও বর্জিনিয়াকে কোলে করিয়া লইলেন । এবং বীর ৰার মুখ চুম্বন করিয়া তাহাদিগকে এই বলিয়। সান্তন করিতে লাগিলেন “ বাছা সকল! চুপকর ২, আর কীদিও না । আমি আর কিছুর জন্য কাদি নাই, কেবল তোমাদের জন্যই এত ক্লেশ বোধ হইয়াছিল, এখন আবার তোমাদের মুখ চাহিয়া অন্তঃকরণে প্রবোধ দিলাম । এখন যে মুখ বোধ হইল, তাহাতে অকস্মাৎ যে দুঃখটা আসিয়াছিল, তাহা এক কালে দূর হইয়। গিয়াছে ” । ছেলেরা এ সকল কথার মৰ্ম্ম বুঝিতে পারিল না, কেবল তাহারা মাতাদের মনে পুৰ্ব্বের মত শান্তি জন্মিয়াছে দেখিয়া, তাহাদের মুখপানে চাহিয়া রহিল, এবং মৃদু মৃদু হাস্যের সহিত তাহাদিগকে নানা প্রকার সোহাগ করিতে লাগিল । এইরূপে সেই দোষহীন পরিবারেরা আত্মমুখ সম্পাদন করিয়া গিয়াছে । তাহাদের দুঃখের কারণ তিল-প্রমাণ হইলে, তাহারা তাহাকে ক্ষণেকের মধ্যে তাল-প্রমাণ করিয়া তুলিত । এইরূপে প্রতিদিন সেই বালক ও বালিকার মুতন