পাতা:পাল ও বর্জিনিয়া.pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

} \) পাল ও বর্জিনিয়া । উহাকে ক্ষমা করিয়া পরমেশ্বরকে প্রীত করাও আমার উদেশ্য নহে ” । বজিনিয়া ক্লষকের প্রমুখাৎ এই কথা শুনিবামাত্র অমনি সেই দাসীকে ইঙ্গিত দ্বারা জানাইয় তাহার হৃদয়কে নির্ভয় করিল, এবং আর কালব্যাজ না করিয়াই পালের সঙ্গে তথা হইতে প্রস্থান করিল। তাহারা যে পথদিয়া গিয়াছিল প্রত্যাগমন কালে সেখান দিয়াই আসিতে লাগিল । পথিমধ্যে উচ্চ পৰ্ব্বতের উপরি উঠিবার সময়ে তাহাদের বড়ই কষ্ট বোধ হইতে লাগিল। একে তাহারা তত বেল পৰ্য্যন্ত কিছুই আহার করে নাই, তাহাতে আবার সাত আট ক্রোশ পথ চলাতে নিতান্ত শ্রান্তও হইয়াছিল । সুতরাং আর অধিক চলিতে সমর্থ না হইয়া, সেই পৰ্ব্বতের উপরিভাগে এক ব্লক্ষের তলে উপবিষ্ট হইল । বর্জিনিয়া ক্ষুধায় ও তৃষ্ণায় এমনি কাতর হইয়াছিল, যে সেখানে খানি কক্ষণ বসিয়া থাকিতে ২ তাহার সৰ্ব্বাঙ্গ শিথিল হইতে লাগিল । এবং অবিলম্বেই ভূমিশয্যা অবলম্বন করিয়া নিদ্রিত হইল । পাল তাহার তাদৃশ কাতরতায় অতিশয় ব্যাকুল হইয়াকহিল “বজিনিয়ে ! এখন কি করি বল দেখি ! বেলা ত দুই প্রহর অতীত হইয়াছে ; ক্ষুধায় ও তৃষ্ণায় তুমি বড়ই কাতর হইয়াছ দেখিতেছি । এ পৰ্ব্বতের উপরি যে কিছু খাইবার দ্রব্যসামগ্রী পাওয়া যায় এমন বোধ হইতেছে না। করি কি ? কোথায় যাই ? চল আমরা দুজনে এখান হইতে নামিয়া পুনৰ্ব্বার সেই ক্লষকের নিকটে গমন করি এবং তাঁহার নিকট হইতে কিছু খাদ্যদ্রব্য চাহিয়া