পাতা:পাল ও বর্জিনিয়া.pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাল ও বর্জিনিয়া । 8 సె ক্রমেই দগ্ধ হইয়া ভূমিতে পতিত হইতে লাগিল । ইহাতে পথ পরিষ্কৃত হইতে আর বিলম্ব হইল না । অগ্নি নিৰ্ব্বাণ হইয়া গেলে পর, পাল সেই ব্লক্ষে আরোহণ করিয়া তাহ হইতে সেই সকল ফল পাড়িয়া আনিল । তন্মধ্যে পরিপক্ক ফল সকল বাচিয়;হ আপনার অগ্ৰেই ভোজন করিল । তাহাতে তাহাদের এক প্রকার ক্ষুন্নিৱত্তিরও ব্যাঘাত হইল না । পরে অবশিষ্ট অপক্ক ফল সকল সেই রক্ষতলস্থ উষ্ণ ভস্মরাশির মধ্যে নিক্ষিপ্ত ও স্বিন্ন করিয়া খাইতে লাগিল । সেই স্বিন্ন করা ফলের আস্বাদ প্রায় পরিণত ফলেরই মত। যাহা হউক তাহাদিগের তাদৃশ আহার অতি সামান্যরূপ হইলেও তখন তাহা পরিতোষ কর হইয়াছিল, সন্দেহ নাই । সে দিবস প্রাতঃকালে যেরূপ সৎকৰ্ম্ম করিয়া আসিয়াছিল তাহাতে তাহাদের অন্তঃ করণ সম্পূর্ণরূপেই পরিতৃপ্ত ছিল । ফলে তাদৃশ তৃপ্তি থাকিতে আহারাদির তৃপ্তি তৃপ্তিমধ্যেই পরিগণিত হইতে পারে না । তাহাদের সে দিনের আহলাদ কি বর্ণনা করিয়া পরিচয় দেওয়া যায় ? যদি তখন সস্তুতিবৎসল মাতাদের কথা তাহীদের মনে মধ্যে২ উদিত ন হইত, তাহা হইলে তাহাদের আমোদের আর ইয়ত্ত থাকিত না । এইরূপে জলযোগ করা সমাপ্ত হইলে পর বজিনিয়ার মনে, আমাদের অদর্শনে মায়েরা কি ভাবিতেছেন, কি বাই করিতেছেন, এই বিষয় সৰ্ব্বদাই স্মরণ ও তদুপলক্ষে উৎকণ্ঠ হইতে লাগিল । তাহাতে পাল ৰজিনিয়াকে দৃঢ়বাক্যে বুঝাইয়া কহিতে লাগিল “ ভগিনি । ভাবিত হইও না, স্থির হও, আমরা