পাল ও বর্জিনিয়া। st R. মুকিতে ২ আমার আগে ২ যাইয়া, যে পৰ্ব্বতশৃঙ্গ হইতে ক্লষ্ণানদী উৎপন্ন হইয়াছে, তথায় গিয়া দণ্ডায়মান হইল, এবং উচ্চৈঃস্বরে শব্দ করিতে লাগিল । ঐ স্থানটি জলপ্রস্রবণের অতি সন্নিহিত । তথায় গিয়া দেখিলাম একটা খৰ্জ্জুর রক্ষের চতুর্দিকে ভস্ম ও অঙ্গার সকল পতিত রহিয়াছে। অবশেষে খুজিতেই এই স্থান প্রাপ্ত হইলাম । “আমরা এখন ত্রিশিরা পৰ্ব্বতের ঠিক নীচে রহিয়াছি । এখান হইতে আমাদের গৃহ প্রায় ৬ ছয় ক্রোশ পথ অন্তর হইবেক । যাহtহউক আজি তোমরা ষে প্রকার উৎকৃষ্ট ও বলকর ফল খাইয়া রহিয়াছ, তাহা শুনিয়া আমার অত্যন্ত আমোদ হইল ’ । এই সকল কথা কহিয়া দমিল পিষ্টক, বিবিধ প্রকার ফল, ও চিনির জলেতে মদিরা মিশ্রিত এক তাণ্ড পানীয় দ্রব্য তাহদের সম্মুখে স্থাপন করিল। তখন বজিনিয়ার আর কোন বস্তুতে দৃষ্টি কিম্বা কোন কথায় কাণ দেওয়া নাই, সে কেবল অন্যমনস্কের মত হইয়া বসিয়া রহিল। দমিঙ্গের মুখ হইতে কাফি, দাসীর দুরবস্থার কথা শুনিয়া অবধি তাহার অন্তঃকরণে মৰ্ম্মান্তিক দুঃখ বোধ হইতে লাগিল এবং মায়েরদের কাতরতার কথা স্মরণ হওয়াতে, তাহ যৎপরোনাস্তি বৃদ্ধি পাইয়া তাহাকে বিহ্বল করিয়া তুলিল । খানিকক্ষণ পরে বর্জিনিয়া এক দীর্ঘ নিঃশ্বাস পরিত্যাগ করিয়া কহিয়া উঠিল “ লোকে আর ২ কৰ্ম্ম সকল অবলীলাক্রমেই করিতে পারে বটে, কিন্তু পরের উপকার করা তাহ:দের পক্ষে বড় সহজ ব্যাপার নহে ” ।
পাতা:পাল ও বর্জিনিয়া.pdf/৭০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
