পাতা:পাল ও বর্জিনিয়া.pdf/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७२ পাল ও বর্জিনিয়া | বলিয়া জননীর উচ্চৈঃস্বরে ডাকিতেছেন । মায়েরদের তদ্রুপ চীৎকার শুনিয়া তাহারা অতি সত্বরে তাহার উপরি উঠিতে লাগিল । এবং “এই আমরা আইলাম গো মা ! এই আমরা আইলাম গো ম৷” বলিয় বারহ উচ্চৈঃস্বরে ডাকিয়া কহিতে লাগিল । জননীর সেই শবদ শুনিবামাত্র অমনি সত্ত্বরে তাহাদের নিকট আগবাড়াইয়। অাসিতে লাগিলেন । দুই জননী এবং মেরী এই তিন জন তিন মসাল হাতে করিয়া দেখিতে ২ তাহাদের সম্মুখে আসিয়া উপস্থিত হইল। কেহ বাৰ। আইলি, কেহ মা আইলি, কেহ বাছারা আইলি, বলিয়। সকলে তাহাদিগকে মুখচুম্বন করিয়া এক এক বার কোলে করিতে লাগিল । পরে বর্জিনিয়ার মা, সাতিশয় আনন্দিত হইয়া অভ্যাননদাঞ্জপুর্ণ লোচনে গদগদম্বরে তাহাদের চিবুকে হাত দিয়া কহিতে লাগিলেন “ হারে বাছা সকল ! তোরা সমস্ত দিন কোথা ছিলি, বল দেখি, তোদের ভাবনায় আমাদের সমস্ত দিন যে প্রকার যাতনা গিয়াছে, তাহার কত পরিচয় দিব । যাইবার সময়ে যদি মেরীর কাছে বলিয়। যাইতিস, তাহা হইলে আমাদিগকে এত ভাবিতে হইত না । ও মা! বাজীতে আসিয়া মেরীকে জিজ্ঞাসা করিলাম, সে কিছুই বলিতে পারিল ন। খানিক ক্ষণ পর্যন্ত, ছেলেরা এখানেই গিয়াছে এখনই আসিবে এই বলিয়া মনকে প্রবোধ দিয়া রাখিলাম । পরে যত বেলা হইতে লাগিল তত প্রাণ কাটিয়া যাইতে লাগিল ৷ একবার ঘর একবার বাহির করিতে লাগিলাম, কিছুতেই শান্তি বোধ হইল না”।