পাতা:পাল ও বর্জিনিয়া.pdf/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ማቴሎ পাল ও বর্জিনিয়া। না । তাহাদের কোন বিশেষ উৎসব উপলক্ষে আমোদ করিবার আবশ্যকতা ছিলনা, প্রতিদিনই তাহদেৱ পৰ্ব্বাহম্বরূপ ৰোধ হইত। তাহারা যেই বিষয় চিস্তা করিতেন তাহাই মানবজাতির পরম মঙ্গলজনক। তাহাদের হৃদয় ঐশ্বরী ভক্তিতে এতাদৃশ পরিপূর্ণ ছিল যে তাহাদের গতানুশোচনে নিৰ্বত্তি, ও বৰ্ত্তমানে দুর্ঘটনায় সহিষ্ণুতা, এবং ভাৰি সম্পদে প্রত্যাশালাভ হইবার কিছুমাত্র ব্যাঘাত হইত না । এই রূপে সেই নারীরা লোকালয় পরিত্যাগ পুৰ্ব্বক এই নিরালয় ও নিজন প্রদেশে বাস করিলেও তাহাদের অন্তঃকরণে বিজাতীয় ধৰ্ম্মনিষ্ঠ ছিল । সুতরাং তাহাতে তাহাদের মনে সাংসারিক যাতনা-সকলের উদ্বোধমাত্রই হইত না । মনুষ্যের মন যেমন ইচ্ছা তেমন মুদৃঢ় বা মুযন্ত্রিত হউক না কেন, তাহা কোন না কোন সময়ে কারণের গতিকে অভিভূত না হইয়া যায় না । এই কারণবশতঃ তাহাদেরও তাদৃশ ঘটনা কখনই ঘটিয়া উঠিত, কিন্তু তৎক্ষণমাত্র তাহার শান্তি হইয়া তিরোভূত হইতে আর কিছুমাত্র কালবিলম্ব হইত না । বিশেষতঃ সেই পরিবারদ্বয়ের কাহারে। মনে কখন কোন দুঃখ উদিত হইলে সকলে মিলিয় তাহ দূৰ করিবার চেষ্টা পাইত । মার গ্রেট আপনার স্বভাবমুল আমোদ প্রমোদের কাৰ্য্য করিতে চেষ্টা করিতেন । বিবিদিলাতুর ধৰ্ম্মবিষয়ক তকবিতক করিতে নিযুক্ত হইতেন। দয়াড্র হৃদয়৷ বজিনিয়া বাহুলতায় তাহাদের কণ্ঠদেশে আলিঙ্গন করিয়া সজল নয়নে বিবিধ প্রকার সান্ত না করিত।