পাতা:পাষাণের কথা.djvu/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

পাষাণের কথা

 পঞ্চশত সৈনিক লইয়া স্কন্দগুপ্ত কোন্ স্থানে গমন করিয়াছিলেন তাহা তোমাদিগের পিতৃপুরুষেরা ইতিহাসে লিপিবদ্ধ করিয়া রাখিয়াছিলেন। কীটদষ্ট জীর্ণগ্রন্থ উদ্ধার কর, তাহার সন্ধান পাইবে। চাহিয়া দেখ, কিঞ্চিন্ন্যূন পঞ্চশত সৈনিক গঙ্গাযমুনাসঙ্গমে উপস্থিত হইয়াছে, ত্রস্ত নগরবাসিগণ অস্ত্রধারী পুরুষ দেখিয়া পলায়নের চেষ্টা করিতেছে। একজন সৈনিক উচ্চৈঃস্বরে কি বলিল। চাহিয়া দেখ, পলায়নপর নগরবাসিগণ ফিরিতেছে, দলে দলে নাগরিক ও নাগরিকাগণ নগ্নপদ শিরস্ত্রাণবিহীন, যুবকের সম্মুথে নতজানু হইতেছে। আগন্তুকগণের আগমন-সংবাদ বিদ্যুতের ন্যায় দ্রুত দগ্ধাবশিষ্ট নগরীর চতুর্দ্দিকে ধাবিত হইল। নগরের প্রধান দণ্ডনায়ক স্থাণুদত্ত আসিতেছেন। যে জনতা, পথশ্রমে ক্লান্ত, মলিনবেশধারী, বুভুক্ষু সৈনিকগণের গতিরোধ করিয়া দাঁড়াইয়াছিল, তাহারা সসম্ভ্রমে পথ ছাড়িয়া দিল। কম্পিতপদে হস্তী ও অশ্ব পরিত্যাগ করিয়া পলিতকেশ স্থাণুদত্ত নগ্নশীর্ষ যুবকের দিকে অগ্রসর হইতেছেন, সৈনিকগণ প্রত্যেকে শিরস্ত্রাণ স্পর্শ করিয়া অভিবাদন করিতেছে। প্রতিষ্ঠানের দণ্ডনায়ক হইবার পূর্ব্বে স্থানুদত্ত দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের বিশাল সাম্রাজ্যের মহাবলাধিকৃত ছিলেন। দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের পার্শ্বে তাঁহার অশ্ব প্রতি যুদ্ধে দৃষ্ট হইত। তিনি কুমারগুপ্ত ও গোবিন্দগুপ্তের শিক্ষাগুরু, স্কন্দগুপ্তের পিতামহকল্প। তাঁহার দক্ষিণপার্শ্বে জ্যেষ্ঠপুত্ত্র তনুদত্ত। তিনি স্পর্দ্ধা করিয়াছিলেন যে, রাজশক্তির সহায়তা পাইলে বৃদ্ধ পিতার অনুজ্ঞাক্রমে তিনি হূণবাহিণী মরুপারে রাখিয়া আসিবেন। সেই জন্য হূণরাজ তোরমাণের আদেশে তাঁহার দক্ষিণ হস্ত ছিন্ন হইয়াছে। তাঁহার পুত্ত্র হরিদত্ত প্রতিষ্ঠান

১০৮