পাষাণের কথা
অনুপ্রাণিত হইয়া সসাগরাধরণীর সম্রাট অজস্র অর্থব্যয়ে ধনভূতির স্তূপ পুনর্নির্ম্মাণ করিতেছেন। শুনিলাম, সমুদ্রগুপ্তের বিশাল সাম্রাজ্যের বহির্দ্দেশস্থ দেশসমূহ যশোধর্ম্মের বাহুবলে জিত হইয়াছিল, হিমমণ্ডিত উত্তর দেশীয় পর্ব্বতে, বালুকাতপ্ত উত্তরমরুদেশে, খস ও হূণগণ যশোধর্ম্মের ভয়ে কম্পিত হইয়া থাকে। শুনিলাম, আর্য্যাবর্ত্তের হূণাধিকার লুপ্ত হইয়াছে; বহু রক্তপাতে অর্জ্জিত তোরমাণের সাম্রাজ্য তোরমাণের সহিত অন্তর্হিত হইয়াছে; লৌহিত্যতীরে প্রাগ্জ্যোতিষের রক্তপিপাসু ব্রাহ্মণগণ যশোধর্ম্মের নামে কম্পিত হইয়া থাকে ও গোপনে অন্ধকার রজনীতে পশুহত্যা করিয়া রক্তপিপাসা শান্ত করিয়া থাকে। শুনিলাম, পূর্ব্বসমুদ্রতীরে হরিদ্বর্ণ তালীবনবেষ্টিত মহেন্দ্রগিরিশীর্ষে যশোধর্ম্মের জয়স্তম্ভ প্রোথিত হইয়াছে; তুষারমণ্ডিত হিমগিরি হইতে পশ্চিম সমুদ্রের উপকূল পর্য্যন্ত সমগ্র ভূমি যশোধর্ম্মের অধীনতা স্বীকার করিয়া থাকে; আর্য্যাবর্ত্তে সমুদ্র গুপ্তের পরবর্ত্তীকালে কেহ আর এতাদৃশ বিশাল সাম্রাজ্যের অধীশ্বর হয় নাই।
১৩৪