পাতা:পাষাণের কথা.djvu/১৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পাষাণের কথা



[ ১৪ ]

 নিদাঘের উত্তপ্ত প্রবল বায়ুর সম্মুখে বালুকাস্তূপের ন্যায় হর্ষের সাম্রাজ্য কেথায় উড়িয়া গেল তাহা কেহ বলিতে পারিল না। আর্য্যাবর্ত্ত পুনরায় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র খণ্ডরাজ্যে বিভক্ত হইয়া গেল। ক্রমে সমৃদ্ধিশালী জনপদ সমূহে পরিপূর্ণ হইয়া ক্ষুদ্র আটবিকরাজ্য মহাকোশল আখ্যা লাভ করিল। হর্ষের সময়ে যে রাজকর্ম্মচারী কোশল শাসন করিতেন তিনি যথাসময়ে রাজোপাধি গ্রহণ করিয়া কোশলের সিংহাসনে আরোহণ করিলেন। ধনভূতির নগরের বহির্দ্দেশে স্তূপের সন্নিধানে নূতন রাজবংশের নূতন রাজধানী স্থাপিত হইল। আর্য্যাবর্ত্তের ইতিহাসে এই নূতন রাজবংশের নাম এখনও অজ্ঞাত। নূতন রাজার বংশধরগণ বর্ব্বর কন্যা বিবাহ করিয়া যে মিশ্রজাতি উৎপাদন করিয়াছিলেন তাহারা উত্তরকালে, ইতিহাসে, চন্দ্রাত্রেয় বা চন্দেল্ল নামে পরিচিত হইয়াছিল। আটবিক প্রদেশের উন্নতির সহিত মঠেরও উন্নতি হইতেছিল। মঠবাসিগণ রাজ্য পরিচালনা পরিত্যাগ করিলেও প্রভূত শক্তিশালী ছিলেন। রাজগণ ও বর্বর দলপতিগণ সর্ব্বদা প্রচুর পরিমাণ অর্থ ও ভূমিদানে তাঁহাদিগকে সন্তুষ্ট রাখিবার চেষ্টা করিতেন; ক্রমে ধনশালী, শক্তিশালী শৈব মঠবাসিগণ কোশল রাজ্যের রাজশক্তির সমান বলশালী হইয়াছিলেন। মঠের উন্নতির সহিত মঠের অধিষ্ঠাত্রী দেবতারও উন্নতি হইয়াছিল। আমার মস্তকের উপরে বহুদূর দেশ হইতে আনীত নানা বর্ণের পাষাণখণ্ডসমূহ যোজনা করিয়া মঠবাসিগণ এক অত্যদ্ভুত বিশাল প্রাসাদ নির্ম্মাণ করিয়াছিল। তাহার গগনস্পর্শী চূড়ায় শুভ্র রজতনির্ম্মিত ত্রিশূল ভগবান দেবাদিদেবের মহিমা ঘোষণা

১৫৭