পাতা:পাহাড়ে মেয়ে - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২২
দারোগার দপ্তর, ১৪৬ সংখ্যা।

কাহারও হস্তে যদি আমার প্রাণ বিসর্জ্জিত হইত, তাহা হইলে আজ আমি মহাসুখে আমার আত্মাকে সুখী করিতে পারিতাম। কখন না কখন আমার সেই প্রথম অবস্থার পাপ হইতে পরমেশ্বর আমার আত্মাকে মুক্তি প্রদান করিতেন; কিন্তু এখন আর আমার সে আশা নাই। আমার ভয়ানক ভয়ানক রাশি রাশি পাপের প্রায়শ্চিত্ত কোন জগতেই হইবে না!”


পঞ্চম পরিচ্ছেদ।


ক্ষণিক চিন্তা।

 “যে দিবস অতি প্রত্যুষে আমরা রেলওয়ে ষ্টেশনে আসিয়া উপস্থিত হইলাম, সেইদিবস দিবা দশটার সময় আমরা রেলযোগে হাবড়া ষ্টেশনে আসিয়া উপনীত হইলাম। সেই স্থান হইতে একখানি ঘোড়ার গাড়ী করিয়া আমরা কলিকাতার ভিতর আগমন করিলাম। যে স্থানে আসিয়া আমাদিগের গাড়ী থামিল, সেই স্থানের নাম সেই সময় আমি জানিতাম না; কিন্তু পরে জানিয়াছিলাম, উহাকে সোণাগাছি বা সোণাগাজি কহে। আমরা গাড়ি হইতে অবতরণ করিয়া ইষ্টক-নির্ম্মিত একটী দ্বিতল বাড়ীর ভিতর প্রবেশ করিলাম। উহার ভিতর গমন করিয়া যাহা দেখিলাম, তাহা পূর্ব্বে আমি আর কখনও দেখি নাই, বা কাহারও নিকট শ্রবণ করি নাই।

 “দেখিলাম, সেই বাড়ীর ভিতর উপরে ও নিম্নে ছোট বড় সতের আঠারখানি ঘর আছে। একখানি ঘর ব্যতীত সমস্ত ঘরগুলিই